National

যতক্ষণ ওষুধ নয় ততক্ষণ ঢিলেমি নয়

যতক্ষণ ওষুধ নয়, ততক্ষণ টিলেমি নয়। দেশজুড়ে উৎসবের প্রাক্কালে দেশবাসীকে ফের একবার এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে করোনা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নয়াদিল্লি : চতুর্থীর সন্ধে ৬টায় দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একথা সকালেই জেনে গিয়েছিলেন দেশবাসী। এবার কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। তবে বিষয়বস্তুর প্রাণকেন্দ্রে যে করোনাই থাকবে তা পরিস্কার ছিল সকলের কাছে।

এদিন সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেই করোনা নিয়েই বার্তা দিলেন সকলকে। খুব লম্বা ভাষণ নয়। সংক্ষিপ্ত, কিন্তু উৎসবের ঠিক আগেই দেশনায়ক হিসাবে দেশবাসীকে যা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার ছিল তা তিনি করিয়ে দিলেন অত্যন্ত সহজ ভাষায়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, দেশ থেকে লকডাউন চলে গেছে ঠিকই কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে করোনা চলে যায়নি। ভাইরাস রয়েছে। তাই সাবধানতাতেও খামতি দেওয়ার উপায় নেই।

তিনি বলেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দেশ এখন ভাল জায়গায় রয়েছে। প্রতি ১০ লক্ষে যেখানে অন্য অনেক দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৫ হাজারের ওপর সেখানে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার।

যেখানে অন্য অনেক দেশে প্রতি ১০ লক্ষে মৃতের সংখ্যা ৬০০ জনের ওপর, সেখানে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে মৃতের সংখ্যা ৮৩। দেশে মৃত্যুর হার কমছে। বাড়ছে সুস্থতার হার। কিন্তু এমনটা মনে করার কারণ নেই যে করোনা চলে গেছে। ফলে সাবধানতায় এতটুকু ঢিলেমি নয়। একথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন অনেক ভিডিও সামনে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ করোনা সাবধানতা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন। হয় তাঁরা ভাবছেন করোনা থেকে কিছু হয়না অথবা তাঁরা ভাবছেন করোনা চলে গেছে। কিন্তু করোনা রয়েছে, তাই যতক্ষণ ওষুধ নয়, ততক্ষণ ঢিলেমিও নয়।

করোনা টিকা এলে তা যত দ্রুত সম্ভব ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা সরকার শুরু করে দিয়েছে, তাও এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী। জানান সরকার সকলের কাছে খুব কম সময়ের মধ্যে টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ কীভাবে হবে তা নিয়ে জোরকদম কাজ করছে। কিন্তু তার আগে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।

এদিন উৎসবের প্রাক্কালে সকল দেশবাসীকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *