National

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জায়গা পেল বাংলার কৃত্তিবাসী রামায়ণ

দেশে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ধরে রেখেছে একটি নাম, রাম। এদিন রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর পর এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অযোধ্যা : ২৯ বছর পর অযোধ্যায় পা রাখলেন তিনি। রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় বুধবার অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুজোর শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, রাম মন্দির হচ্ছে এটা অনেকেই জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবেন বলে মনে করেননি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিন গোটা দেশ রামময়, ভাবাবেগে পূর্ণ। সরযূ নদীর তীরে এদিন এক স্বর্ণোজ্জ্বল মুহুর্তের সূচনা হল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন অযোধ্যয় রাম মন্দির শুধু একটা ভাবাবেগ নয়, এই মন্দির গোটা অযোধ্যার অর্থনীতি বদলে দেবে। দেশ বিদেশের মানুষ মন্দির প্রতিষ্ঠা হলে এখানে হাজির হবেন। যা অযোধ্যার অর্থনীতির ভোল বদলে দেবে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। রাম মন্দির অযোধ্যায় রোজগারের অনেক সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। ফলে অনেক কিছু বদলে যাবে। অযোধ্যা বদলে যাবে। এখানকার অর্থনীতি বদলে যাবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রামায়ণের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে তাঁর বক্তব্যে জায়গা পায় বাংলার কৃত্তিবাসী রামায়ণও। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন রামায়ণে রামকে নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। জানান শুধু দেশ বলেই নয়, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া থেকে শুরু করে নেপাল, শ্রীলঙ্কাতেও রামের কথা বিশেষ গুরুত্ব পায়। আলোচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নামই হল রাম।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, রাম মন্দির দেশের সংস্কৃতির আধুনিক প্রতীক হতে চলেছে। স্থান, কাল মেনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুশাসন রামকে গোটা বিশ্বে সমাদৃত করেছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রধান নৃত্যগোপাল দাস এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এদিন প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষে একটি ডাক টিকিটের উদ্বোধন করেন। ডাক টিকিটে প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ছবি রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *