National

যাঁরা চাকরি চাইছেন, তাঁরাই এবার চাকরি তৈরি করবেন, বললেন প্রধানমন্ত্রী

যাঁরা চাকরি চাইছেন, চাকরি খুঁজছেন, তাঁরাই এবার চাকরি তৈরি করতে পারবেন। এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী।

নয়াদিল্লি : কেন্দ্র যে নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি ঘোষণা করেছে তা নিয়ে বিরোধীদের থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও সেসব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রভূত সম্ভাবনাকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হয়েছে তা আধুনিক। একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে মানানসই। এই শিক্ষানীতি একদম অন্যভাবে তৈরি করা হয়েছে। অনেক বেশি নমনীয় করা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাকে। যাতে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হন।

স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন-এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই জাতীয় শিক্ষা নীতি আগামী দিনে চাকরি যাঁরা চাইছেন, তাঁদের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতায় তুলে নিয়ে যাবে। তাঁরা আর চাকরি চেয়ে বেড়াবেন না, তাঁরা নিজেরাই চাকরি তৈরি করবেন। জাতীয় শিক্ষানীতির সুফল সম্বন্ধে এদিন বারবার সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন-এর প্রতিযোগীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষত মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ক্ষেত্রে যে নয়া উদ্ভাবনী তাঁরা তুলে ধরেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্ভাবনী ক্ষমতা দিয়ে এঁরা তৈরি করেছেন এমন স্যানিটারি প্যাড যা বারবার ব্যবহার করা সম্ভব। সাধারণভাবে এখন বাজারে যে স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যা তা একবার ব্যবহারের পর মহিলাদের ফেলে দিতে হয়। এখন থেকে সেক্ষেত্রে অনেক বেশি সাশ্রয় হবে তাঁদের। একটি স্যানিটারি প্যাডকেই একাধিকবার ব্যবহার করতে পারবেন মহিলারা।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন এখন সরকার ১ টাকায় স্যানিটারি প্যাড দিচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার ব্যবহার করা যায় এমন স্যানিটারি প্যাড মহিলাদের প্রভূত উপকার করবে। এছাড়া ফেসিয়াল রেকগনেশন-এর ক্ষেত্রেও একটি রিয়েল টাইম ফেসিয়াল রেকগনেশন যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রতিযোগীরা। এক্ষেত্রে মুখ ঢাকা থাকলেও যন্ত্র ফেসিয়াল রেকগনেশন-এ সমর্থ বলে দাবি করা হয়েছে। যা এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মাধ্যমে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার ওপরও জোর দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *