National

ইমরানকে ধন্যবাদ জানালেন মোদী

একদিকে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান। তখন এই বিভাজন ছিলনা। ছিলনা ২টি দেশ। সেই সময় অধুনা পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের করতারপুরে জীবনের শেষ ১৮টি বছর কাটিয়েছিলেন শিখ ধর্মের প্রবক্তা গুরু নানক। তাই করতারপুরের দরবার সাহিব গুরুদ্বার শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র তীর্থ। কিন্তু ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় পাকিস্তানে হয়তো আর প্রবেশই করা যাবেনা বলে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত-পাক যৌথ উদ্যোগে এই কঠিন কূটনৈতিক পরিবেশেও করতারপুর করিডর খুলে গেল শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য। যে করিডরের এদিন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে তিনি সুলতানপুর লোধী-র বার সাহিব গুরুদ্বারে প্রার্থনা সারেন।

ভারতের পঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের পঞ্জাবের করতারপুরের দরবার সাহিব গুরুদ্বার পর্যন্ত এই রাস্তা তৈরি হয়েছে। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা। যা পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত থেকে ৪ কিলোমিটার ঢুকতে হয়। অর্থাৎ পাকিস্তানের মধ্যেই বেশি অংশ গেছে। এই করিডর দিয়ে করতারপুরের দরবার সাহিব গুরুদ্বার পর্যন্ত যেতে ভারত থেকে যাওয়া পুণ্যার্থীদের কোনও ভিসা লাগবে না। তাঁদের সঙ্গে থাকতে হবে পাসপোর্ট। তাঁদের পাকিস্তানে একটি পারমিট দেওয়া হবে। তার সাহায্যেই তাঁরা করতারপুরের দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যেতে পারবেন। কিন্তু পাকিস্তানের অন্যত্র তাঁরা যেতে পারবেননা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

করতারপুর করিডর শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এদিন ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, শিখ ধর্মের মানুষের অনুভূতিকে বোঝার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। এদিনই শিখ ধর্মাবলম্বীদের একটি দল করতারপুর করিডর হয়ে রওনা দেয়। এটাই ওই পথে প্রথম দল। এই দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। যিনি নিজেও একজন শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *