National

মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় আবু সালেমকে যাবজ্জীবন, তাহির মার্চেন্ট, ফিরোজ খানের মৃত্যুদণ্ড


১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় তাহির মার্চেন্ট ও ফিরোজ খানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল বিশেষে টাডা আদালত। পর্তুগালের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তের ফাঁক গলে মৃত্যুদণ্ড এড়াতে পেরেছে গ্যাংস্টার আবু সালেম। তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায়দানের পর সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম পরিস্কার জানান, কেবলমাত্র প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় মৃত্যুদণ্ড হল না আবু সালেমের। এছাড়া দোষী সাব্যস্ত করিমুল্লা খানেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। করিমুল্লা ও আবু সালেম, ২ জনের ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। অপর অভিযুক্ত রিয়াজ সিদ্দিকির ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে।


১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ের জাভেরি বাজার, স্টক এক্সচেঞ্জ, এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং, হোটেল সিরক সহ মোট ১২টি জায়গায় শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহত হন ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা মুম্বই নগরীকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তের নাম উঠে আসে। তালিকায় ছিল মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম, আবু সালেম সহ শতাধিক নাম। যারমধ্যে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম এখনও ফেরার।


২০০২ সালে পর্তুগালে গ্রেফতার হয় আবু সালেম। সে দেশের পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর ভারত তাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরাতে চায়। ২০০৫ সালে পর্তুগাল সরকার আবু সালেমকে ফেরত দিলেও শর্ত দেয় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। সেই শর্ত মেনেই ভারত আবু সালেমকে ফিরিয়ে বিচার শুরু করে।

বিস্ফোরণের জন্য গুজরাট থেকে মুম্বই শহরে অস্ত্র নিয়ে আসে আবু সালেমই। ২০১৫ সালে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেননকে ফাঁসি দেয় ভারত। আরব আমিরশাহী থেকে পাকড়াও করা মুস্তাফা দোসাকে সাজা শোনানোর কয়েকদিনের মধ্যে জেলেই মৃত্যু হয় তার। বাকি ৬ অভিযুক্তের এদিন সাজা ঘোষণা করল টাডা আদালত।




Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *