বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়োয় বিশাল কুমড়ো, ৩০ বছর ধরে চলে আসছে এই রহস্যময় রীতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের মাথার কাছে যে ঘড়ি রয়েছে, তার উপরে একদম চুড়োয় প্রতিবছর অক্টোবরে দেখা দেয় এক বিশাল কুমড়ো।

এবছরও অন্যথা হল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলটির মাথায় যে চুড়োর মত করা, যেখানে একটি বিশাল ঘড়ি বসানো রয়েছে, তার মাথায় এবছরও দেখা দিল একটি কুমড়ো।
কমলা রংয়ের কুমড়োটি প্রতিবছরের মতই বিশাল আকারের। ফলে তা নজর কেড়ে নিচ্ছে সকলের। এই কুমড়ো প্রতিবছর অক্টোবরে দেখা যায় আমেরিকার মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলের চুড়োয়।
এই কুমড়ো ঘিরে ২টি রহস্য রয়েছে। একটি হল কীভাবে ওখানে ওই বিশাল কুমড়ো নিয়ে কেউ পৌঁছয়? এই কুমড়ো কখনও সকলকে দেখিয়ে লাগানো হয়না। তাই কীভাবে তা ওখানে নিয়ে গিয়ে লাগানো হয় তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে।
দ্বিতীয়ত, ১৯৯৪ সালে এই কুমড়ো প্রথম নজর কেড়েছিল মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলের মাথায়। তখন কিন্তু কেউ জানতই না কে সেটা ওখানে লাগিয়ে এসেছে। যা আজও একটা রহস্য। কে রেখেছিল এবং কেন রেখেছিল, এই ২টি প্রশ্ন মানুষের মনে রয়েই গেছে। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টাই হয়নি। যেন রহস্যটা জিইয়ে থাকুক এটাই চাওয়া হয়েছে।
এখন অবশ্য প্রতিবছর দক্ষ লোকজনকে দিয়েই এই কুমড়ো অক্টোবর এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকেই প্রধান হলের চুড়োয় লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে সকলের অলক্ষ্যে।
কোনও ছাত্রকে এ কাজ করার ঝুঁকি নিতে দেওয়া হয়না। কিন্তু ওই পিচ্ছিল চুড়োয় অত বড় কুমড়ো নিয়ে ১৯৯৪ সালে কে উঠেছিল, আর উঠলেও কীভাবে উঠেছিল তা আজও একটা রহস্য হয়েই থেকে গেছে।