Entertainment

তিনি চান না তাঁর বায়োপিক তৈরি হোক, কেন তাও জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী

তিনি চান না যে তাঁর কোনও বায়োপিক বা আত্মজীবনী মূলক সিনেমা তৈরি হোক। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণও রয়েছে। তাও স্পষ্ট করে জানালেন ডিস্কো ডান্সার।

বাঙালি হৃদয়ে যে কজন বঙ্গ সন্তান রাজত্ব করেন তাঁদের একজন অবশ্যই মিঠুন চক্রবর্তী। বলিউডের পর্দাকে দাপটে শাসন করা এক অন্যতম নাম মিঠুন। তাঁর নাচের ছন্দে, অভিনয়ে ৮০-র দশকে গোটা ভারত নাচত।


সুপারস্টার মিঠুন সে সময় ভারত বলেই নয় রাশিয়ানদের মনেও স্থায়ী জায়গা করে নেন। আজও রাশিয়া মিঠুন বলতে পাগল। সেই মিঠুন চক্রবর্তী এবার জানিয়ে দিলেন তাঁর আত্মজীবনীমূলক সিনেমা বা বায়োপিক হোক তা তিনি একদম চান না।

যে কোনও ক্ষেত্রের সেলেব্রিটির জীবন নিয়ে সিনেমা তৈরি এখন বলিউডের নতুন ট্রেন্ড। সেই সেলেব্রিটিদের তালিকায় মিঠুন চক্রবর্তীও পড়েন।



মিঠুনের জীবনের পথচলা খুব মসৃণও ছিলনা। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, অনেক সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে আজ তিনি মিঠুন চক্রবর্তী হয়েছেন। আর সেটাই মিঠুনের বায়োপিক না তৈরি করার মূল কারণ।

মিঠুন সম্প্রতি একটি টিভি শোয়ে এসেছিলেন তাঁর পুরনো ডিস্কো ডান্সার সিনেমার কয়েকজনকে নিয়ে। সেখানেই তিনি বলেন, তিনি চান না তাঁর বায়োপিক হোক। কারণ তাঁর জীবনের লড়াই দেখার পর অনেকে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। অনেকে নিজের লক্ষ্য ছোঁয়ার ক্ষেত্রে পিছপা হতে পারেন। এতটাই কষ্টকর সংঘর্ষময় তাঁর জীবন।

মিঠুন বলেন, একটা সময় তিনি ফুটপাতে শুয়ে থেকেছেন। একবেলা খাওয়ার পর জানতেন না পরের প্রহরে কি খাবেন। খালি পেটে দিনের পর দিন রাস্তায় শুয়ে কাটিয়েও সংঘর্ষ চালিয়ে গেছেন।

মিঠুনের গায়ের রংয়ের জন্য চিরদিন তাঁকে নানা কথা সহ্য করে যেতে হয়েছে। তবু রং নিয়ে কটাক্ষ থামেনি। তিনি চান না এত কষ্টকর একটা জীবন পর্দায় তুলে ধরতে। যা অনেককে হতাশ করে দিতে পারে।

তবে ছোটদের গানের এই অনুষ্ঠানে মিঠুনের ছোটদের কাছে বার্তা, সব সময় লক্ষ্যে অবিচল থাকতে। আর লক্ষ্য ছুঁতে কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে যেতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button