Let’s Go

রাবণের শ্বশুরবাড়ি রয়েছে এ দেশেই, কথিত রয়েছে নানা কাহিনি

রামায়ণ সকলেরই জানা। রাবণের কথাও। রাবণের শ্বশুরবাড়ি কিন্তু এ দেশেই। কথিত আছে সেখানেই ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল রাবণের। আজও সেখানে মানুষের ঢল নামে।

রামায়ণে রাম রাবণের যুদ্ধের কাহিনি তো ছোটরা শুনতে শুনতে বড় হয়। ভারতীয়দের কাছে রামায়ণের কাহিনি কমবেশি সকলের জানা। রাবণের স্ত্রী মন্দোদরীর নামও জানেন সকলে।


রাবণ লঙ্কার রাজা হলেও তিনি কিন্তু মন্দোদরীকে বিয়ে করতে এসেছিলেন এ দেশেই। আর পৌঁছেছিলেন অনেক দূরে মরু রাজ্যে। রাজস্থানের মান্দোর নামে জায়গার রাজকন্যা ছিলেন মন্দোদরী। সে সময় তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় লঙ্কাধিপতি রাবণের।

রাজস্থানের মারওয়ারের রাজধানী ছিল মান্দোর। কথিত আছে এখানকার রাজপ্রাসাদেই বসেছিল বিয়ের আসর। ধুমধাম করেই বিয়ে হয় রাবণের।



এখানে ‘রাবণ চাবরি’ নামে একটি জায়গা রয়েছে প্রাসাদের প্রাঙ্গণে। বলা হয় সেখানেই নাকি রাবণ ও মন্দোদরী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই বিয়ে হয়েছিল দেখার মত।

এই জায়গা আজও তাই দ্রষ্টব্য। বহু মানুষ ছুটে আসেন প্রতিবছর এখানে রাবণের বিয়ের স্থান দেখতে। মান্দোর কিন্তু রাবণের বিয়ের জন্য আজও বিখ্যাত।

Mandore
রাজস্থানের মান্দোরে একটি মন্দির, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে যে মন্দোদরী ছিলেন মায়াসুরের মেয়ে। মায়াসুর একসময় স্বর্গে উপস্থিত হলে সেখানে তাঁর হেমা নামে এক অপ্সরার সঙ্গে বিয়ে হয়।

মায়াসুর হেমাকে নিয়ে মর্তে ফিরে আসেন। হেমা ও মায়াসুরের ২ ছেলে ও ১ কন্যা। ২ ছেলে হলেন মায়াবী ও দুন্দুভি। আর ১ কন্যা হলেন মন্দোদরী।

মায়াসুর মন্দোদরীর সঙ্গে বিয়ে দেন রাবণের। কথিত আছে সীতাকে হরণ করেছেন জেনেও রাবণকে চিরদিন ভালবেসেছিলেন মন্দোদরী।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button