National

মমতাকে কালো পতাকা, জয় শ্রীরাম ধ্বনি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। জয় শ্রীরাম ধ্বনিও তোলেন তাঁরা। পাল্টা মমতা জানান এভাবে তাঁকে থামানো যাবেনা।

বিধানসভা নির্বাচন এবং তারপর একের পর এক পুর নির্বাচনে রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। বুধবারই রাজ্যে ১০৮টি পুর নির্বাচনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পুরসভা জিতে নিয়েছে তৃণমূল। আর এদিনই মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মেনে সন্ধেয় পৌঁছন বারাণসীতে।

বিমানবন্দর থেকে তাঁর গাড়ি এগোচ্ছিল দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে। ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি সেখানে পৌঁছতেই গাড়ি ঘিরে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মুখ্যমন্ত্রীও গাড়ি থামিয়ে পাল্টা জয় হিন্দ স্লোগান দেন। সাফ জানিয়ে দেন তাঁকে এভাবে দমানো যাবে না। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চাপড়ও মারেন বিজেপি কর্মীরা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার করছেন। অখিলেশ যাদবকে তিনি তাঁর ভাই বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপি কালো পতাকা দেখাতে শুরু করলে তাঁরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ ধ্বনি তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে মুখ্যমন্ত্রী দশাশ্বমেধ ঘাটে পৌঁছে গঙ্গা আরতি দেখেন। সকলের সঙ্গে ঘাটের সিঁড়িতেই বসে পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা কিরণময় নন্দ সহ অন্যান্যরা।

এদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কালো পতাকা দেখানোর নিন্দা করে অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, দিদি আর ভাই একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাংলায় লজ্জার হার থেকে বিজেপি এখনও বেরিয়ে উঠতে পারেনি। সেই কারণেই বারাণসীতে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। কারণ বিজেপি জানে উত্তরপ্রদেশেও তাদের একই অবস্থা হতে চলেছে।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিজেপির মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা রয়েছে। নারী বিদ্বেষী মনোভাব থেকে এভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ সবই লক্ষ্য রাখছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *