ফের জনস্রোতে মুখ্যমন্ত্রী, মতুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী-র বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলন কর্মসূচি থাকছে তৃণমূলের। মিছিল, মিটিং, ধর্না চলছে। মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন প্রান্তে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পা মেলালেন সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেলেঘাটায় গান্ধী ভবন পর্যন্ত। বহু মানুষ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই মিছিলে পা মেলান। ছিলেন উত্তর, মধ্য ও পূর্ব কলকাতার তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, কর্মী, সমর্থক সকলেই। মিছিল বিবেকানন্দ রোড হয়ে মানিকতলা হয়ে কাঁকুড়গাছি হয়ে ফুলবাগান হয়ে বেলেঘাটা পৌঁছয়। মিছিলে পা মেলানোর সময় নিজেই কিছুক্ষণ কাঁসর বাজান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হারের পর পরদিনই এমন এক জন সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিঁধেছেন বিজেপিকে। সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে মানুষ তাঁদের মত দিতে শুরু করেছেন বলে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হারকে ব্যাখ্যা করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, সিএএ, এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এটা বিজেপির ফাঁদ। তাতে পা দিতে মানুষকে বারণ করেন তিনি।
মতুয়া সমাজের জন্য তিনিই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিয়েছেন, তিনিই বড়মাকে দেখেছেন, তাঁর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। মতুয়া সমাজের জন্য নানা উন্নয়ন করেছেন তিনিই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেলেঘাটার মঞ্চ থেকে এই দাবি করে প্রশ্ন তোলেন এখন কেন মতুয়াদের অপমান করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত মনে রাখা দরকার মতুয়া ভোট গত লোকসভায় অনেকটাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। এই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামী ২৯ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী একটি মিছিলে পা মেলাবেন তিনি।