অ-বিজেপি জোট তৈরিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অন্য নেতারাও বসে নেই। উদ্যোগী কংগ্রেসও। বিজেপিকে ঠেকাতে সব বিরোধী দলই জোট চাইছে। কিন্তু সেটা তৃতীয় ফ্রন্ট, নাকি কংগ্রেসকে নিয়ে অ-বিজেপি জোট সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ কদিন আগে নবান্নে যখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও দেখা করেন, তখন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি হননি। তিনি চাইছেন তৃতীয় ফ্রন্ট। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি জোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। আবার কদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯ জন বিরোধী নেতা দেখা করেন তাঁর বাসভবনে। সেখানে যে কেউ খোশগল্প করতে যাননি তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। অ-বিজেপি জোট তৈরিই যে ছিল প্রধান উদ্দেশ্য তাও সকলের কাছে পরিস্কার।
এই পরিস্থিতিতে ৪ দিনের সফরে গত সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের কাছে পরিস্কার যে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লিতে পা দেওয়া। মঙ্গলবার রয়েছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের নিমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে নৈশভোজ। সেখানে অন্য বিরোধী দলের নেতারাও আমন্ত্রিত। সেখানে এক প্রস্থ আলোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও দেখা করতে চান। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ২০১৯-কে সামনে রেখে এই তৎপরতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটাও ঠিক যে বিজেপি বিরোধী জোট যদি ২টি শিবিরে ভেঙে যায় তাহলে কিন্তু আখেরে লাভ বিজেপিরই। সেটা নিশ্চয়ই বিরোধী নেতৃত্ব মাথায় রাখছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি সকলেই চেয়ে কী ধরণের বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হয় সেদিকেও।