Kolkata

হারবেন জেনেও মীরা কুমারকে ভোট আসলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ : মুখ্যমন্ত্রী

হারবেন জেনেও বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমারকে ভোট দিয়েছে তাঁর দল। এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ। যে প্রতিবাদটাই সামনে আনতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিন বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন তাঁর দলের সব সাংসদ, বিধায়ক মীরা কুমারকেই ভোট দিয়েছেন। তবে মীরা কুমারের হার নিয়ে তাঁর দিক থেকে যে কোনও সন্দেহ নেই তাও এদিন পরিস্কার করে দিয়েছেন মমতা। কারণটা অবশ্যই সংখ্যা। যে সংখ্যার নিরিখে বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরেই দেশের মানুষকে হেয় করছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।


এদিন তাঁর বক্তব্যে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নোটবন্দি, জিএসটি-র জেরে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এই দুইয়ের জেরে দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। কেন্দ্র দেশকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। সামলাতে পারছেনা সীমান্ত সমস্যাও। ভারতের সঙ্গে চিন, নেপাল, বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দেশের সব এজেন্সি সরকারকে সাহায্য করছে। দেশে যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সে খবর কেন এজেন্সিগুলির কাছে নেই তাও জানতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, সাতক্ষীরা থেকে জামাত সীমান্ত পার করে লোক ঢুকিয়ে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিএসএফ থাকতে তারা ঢুকল কী করে? এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন সংসদের বাদল অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেস চুপ করে থাকবে না। গোরক্ষার নামে তাণ্ডব, জিএসটি থেকে সীমান্ত সমস্যা, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তাঁরা সরব হবেন। সংসদে তাঁরা বাঘের বাচ্চার মত লড়াই করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বেশ কিছু দল বিজেপিকে জুজুর ভয় পাচ্ছে। তাই বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। এই দলগুলির উচিত এখনই সরে আসা। নাহলে আগামী দিনে বুঝবে বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া কতটা ভুল হয়েছিল। বক্তব্য পেশে আগাগোড়াই ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button