গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রকে মিলিয়ে দিচ্ছে ২৭টি নদীর ৫১ দিনের জলবিহার, পথে পড়বে এ রাজ্যও
এমন বিশ্বে এই প্রথম। ৫১ দিন ধরে একটানা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য জলবিহারের পর্যটন অন্য কোনও দেশে নেই। এ ভ্রমণে শামিল ভারত ও বাংলাদেশ।
নদীর বুকে ভেসে পড়তে কার না ভাল লাগে! আর সেসব নদী যদি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র হয় তাহলে তো কথাই নেই। এমনই এক অভাবনীয় পর্যটন শুরু হতে চলেছে। যে ভ্রমণ শুরু হবে ঐতিহাসিক মন্দির শহর কাশী থেকে। আর শেষ হবে ডিব্রুগড়ে। পুরো ভ্রমণটাই জলপথে।
এই যাত্রাপথে পর্যটকেরা একটার পর একটা নদীতে ভেসে পড়ার সুযোগ পাবেন। একটা থেকে আর একটা নদীতে ভেসে পড়বে এই বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজ।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে এই জাহাজ যাত্রীদের নিয়ে বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। তারপর সুন্দরবন হয়ে জাহাজ প্রবেশ করবে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের একাধিক নদী পার করে বরিশাল, বাগেরহাট হয়ে সোনারগাঁও হয়ে ধুবরি দিয়ে ফের ভারতে প্রবেশ করবে। এ সময় জাহাজ ভাসবে ব্রহ্মপুত্রের ওপর।
৫১ দিনের এই ভ্রমণ জলপথে বিশ্বে এই প্রথম। এতদিনের জলবিহার বিশ্বের আর কোথাও হয়না। এই যাত্রাপথে ২৭টি নদী ২টি দেশ এবং ৫টি রাজ্য পার করবে এই জাহাজ।
তবে এমন মনে করার কারণ নেই যে কাশী থেকে ভেসে পড়ে ৫১ দিন পর ফের ডাঙায় উঠবেন পর্যটকেরা। বরং প্রায়ই তাঁরা নামবেন। নামবেন বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী স্থানে। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। যেখানে অনেক দ্রষ্টব্য কিছু রয়েছে।
বিক্রমশীলা, নালন্দা, ভাগলপুরের মত নানা স্থানে দাঁড়াবে এই জাহাজ। সেখানে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। তারপর ফের তাঁরা জাহাজে চড়ে ভেসে পড়বেন। এভাবেই ৫১ দিন ধরে ভারত বাংলাদেশের প্রচুর জায়গা দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
জাহাজে ভ্রমণ করাকালীনও ঘরের কাচের জানালা দিয়ে নদী ও প্রকৃতিকে দুচোখ ভরে দেখার সুযোগ পাবেন সকলে। পুরো জাহাজটিই কাচের আস্তরণে ঢাকা। যাতে বাইরেটা ভাল করে দেখার সুযোগ পান পর্যটকেরা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাশী থেকে যাত্রা করবে প্রথম জাহাজটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা