আধঘণ্টা অন্তর অফিসে মায়ের ফোন, বিরক্ত হয়ে শেষপর্যন্ত যা করলেন যুবক
নতুন চাকরি। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও তাঁর যথেষ্ট। কিন্তু প্রতি আধঘণ্টায় একবার করে মায়ের ফোন আসে কেমন আছেন জানতে। অবশেষে তিনি যা করলেন।

বছর তিরিশ বয়স। ঝকঝকে তরতাজা যুবক। নতুন চাকরি পেয়েছেন। কাজের প্রতি যত্নবান তিনি। মন দিয়ে কাজ করেন। বেশি কথা কারও সঙ্গে বলেন না। তাঁর সহকর্মীদের ভালই লেগেছিল তাঁকে। তাঁর বসেরও। কিন্তু সমস্যা একটাই। প্রতি আধ ঘণ্টায় ওই যুবকের ফোন একবার করে বেজে ওঠে।
আর কেউ নন, তাঁর মা তাঁকে প্রতিবার ফোন করেন। কখনও জানতে চান কেমন আছেন, কখনও জানতে চান খেয়েছিলেন কিনা, কখনও জানতে চান কখন বার হচ্ছেন ইত্যাদি।
যুবক সহকর্মীদের জানান, তিনি এভাবেই বড় হয়েছেন। মায়ের কড়া নজরদারিতেই তাঁকে কাটাতে হয়। বাড়ির বাইরে থাকলে এমন আধঘণ্টা অন্তর ফোন তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
এরমধ্যেই কাজের চাপ বাড়ে। একটি কাজ সময়ে শেষ করার জন্য অফিসের সকলেই রাতে অতিরিক্ত সময় কাজ করছিলেন। স্যাম নামে ওই যুবকও সেটাই করছিলেন। সেখানেও মায়ের ফোন।
এবার আর তাঁর সঙ্গে কথা নয়। স্যামের মা সরাসরি তাঁর বসের সঙ্গে কথা বলতে চান। সেই ব্যক্তি তো স্যামের মায়ের বকুনি চুপচাপ সহ্য করলেন। তাপর স্যামকে ফোন ফেরত দিলেন।
এতদিন ওই যুবক যা পারেননি তা সেদিন করে দেখান তিনি। মাকে পাল্টা জানান, এই চাকরিটা তিনি ভাল করে করতে চান। তাঁর মা এমন চালিয়ে যেতে পারেননা। তাঁর কিছু দায়বদ্ধতা আছে। তাই অন্য সহকর্মীরাও যেমন কাজ করছেন তিনিও সেটাই করছেন।
এসব যেন এবার তাঁর মা বন্ধ করেন সেটাও সাফ জানিয়ে ফোন কেটে দেন যুবক। এতদিন যা পারেননি সেটা তিনি সেদিন করে ফেলেন। এই অভিজ্ঞতার কথা তাঁর বসই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যা হুহু করে ছড়াচ্ছে।