বিয়ের প্রথম রাতে বরকনের খাটের তলায় শুয়ে থাকেন অন্য একজন
বিয়ের পর নবদম্পতির একসঙ্গে প্রথম রাত। যাকে সকলে ফুলসজ্জার রাত বলেই জানেন। সেই ঘরে তাঁদের খাটের তলায় অন্য একজন শুয়ে থাকেন। এটাই এক জায়গার প্রথা।
বিয়ের পর প্রথম রাত মানে একটা স্বপ্নিল মুহুর্ত যে কোনও নারী পুরুষের কাছে। সারাজীবনে একে অপরের সঙ্গী হিসাবে বৈবাহিক জীবন শুরুর পর ফুলসজ্জার রাত তাঁদের প্রথম কাছাকাছি আসার একান্ত মুহুর্ত উপহার দেয়। এই সময় ঘর থাকে বন্ধ। একান্তে নিজেদের মত করে মিলে মিশে যান দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ নারী পুরুষ।
সেখানে তৃতীয় কারও প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু এমন এক আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে যাদের এই প্রথম রাতটা তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে কাটে। তাও সেই মানুষটি যিনি কনেকে বিয়ের আগে থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করেন।
যিনি শেখান কীভাবে সঠিক নিয়ম মেনে শারীরিক মিলনে আবদ্ধ হতে হয়। সেই মানুষটি কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতে স্বামীস্ত্রীর ঘরে উপস্থিত থাকেন। তাও আবার তাঁদের খাটের তলাতেই।
শুধু কি খাটের তলায় শুয়ে থাকা! তিনি আবার নজরও রাখেন নববধূ বিয়ের প্রথম রাতে দৈহিক মিলনে কোনও ভুল করছেন কিনা। তিনি যা শিখিয়েছেন তা ঠিকমত পালিত হচ্ছে কিনা। সেই প্রশিক্ষণ মেনে মিলন হচ্ছে কিনা!
আফ্রিকার তানজানিয়া ও কেনিয়া সহ কয়েকটি দেশে সোয়াহিলি নামে এক আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস। এই আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ের প্রথম রাতে কনের মেন্টরের খাটের তলায় লুকিয়ে থাকার রেওয়াজ রয়েছে।
বিয়ের প্রথম রাতে কনের ওই প্রশিক্ষককে মেনে নিতে হয় নবদম্পতিকে। এমনকি তাঁদের দৈহিক মিলনও তৃতীয় কারও উপস্থিতিতেই হয়। সেটাও মেনে নিতে হয় দম্পতিকে।