কবরখানায় চায়ের দোকান, সমাধির পাশে বসে দিব্যি চলে চা পান
চায়ের দোকানের সংখ্যা এ দেশে অগুন্তি। কিন্তু কবরখানায় চায়ের দোকান? তাও আবার গ্রাহকরা চা পান করছেন কবরের পাশে বসে। এ দৃশ্য একটি জায়গায় দেখা যায়।
চায়ের দোকান খোলার ইচ্ছাটা তাঁর ছিল। সেজন্য জমিও খুঁজছিলেন। রাস্তার ধারের চায়ের দোকান নয়। দস্তুরমত একটি দোকান করে চা বিক্রি। এটাই ছিল তাঁর পরিকল্পনা।
সেইমত একটি জমি পানও। কিনেও ফেলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে জমিটি তিনি চায়ের দোকান করার জন্য কিনলেন তা আসলে একটি কবরখানা।
জানতে পারার পর তিনি সে জমি ফের বিক্রি করেও দিতে পারতেন। কিন্তু তাঁর মনে হয় ওই কবরখানাতেই চায়ের দোকান বানাবেন তিনি। বিশ্বাস ছিল এখানেও গ্রাহকের অভাব হবেনা।
দোকান যখন তৈরি করা হয় তখন তিনি দোকানের মধ্যে যে সমাধিগুলি পড়ে সেগুলি লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেন। প্রতিদিন সেই করবগুলিতে দোকানের তরফ থেকে দোকানের কর্মচারিরাই এসে তাজা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর চালু হয় দোকান।
দোকানের টেবিলগুলি কবর ঘেরা রেলিংয়ের গায়ে গায়ে বসানো। সেখানেই বসে চা পান করেন গ্রাহকরা। কিন্তু কবরের গা ঘেঁষে বসে এভাবে চা পানে তাঁদের দিক থেকে আপত্তি বিশেষ আসেনা। এভাবেই ৭২ বছর ধরে এই চায়রে দোকান চলে আসছে।
আমেদাবাদ শহরের লাল দরওয়াজা এলাকার এই কবরখানায় চায়ের দোকান লাকি টি স্টল হিসাবে বিখ্যাত। হালে এক ফুড ব্লগারের হাত ধরে এই কবরখানায় চায়ের দোকানটি নতুন করে দেশ বিদেশের মানুষের নজরে আসে।
কবরখানায় চা খেতে আসা থেকে দূরে থাকা দূরে থাক, শহরের অনেকেই এই দোকানে চা পান করতে পছন্দ করেন। ফলে দোকানে ভিড় লেগেই থাকে।