গদ্দাফির অনুগামী, তাই বিমান অপহরণ, জানাল ২ হাইজ্যাকার

দিনভর রুদ্ধশ্বাস নাটক, টানটান উত্তেজনা, আর আশঙ্কার অবসান হল সন্ধেবেলা। আত্মসমর্পণ করল ২ হাইজ্যাকার। তবে আত্মসমর্পণের আগে জানিয়ে দিল বিমান অপহরণের পিছনে তাদের উদ্দেশ্য। সকালে বিমান অপহরণের পর থেকে কোনও দাবি না জানানোয় কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেন বিমান ছিনতাই করা হয়েছে! অপহরণকারীদের তরফ থেকে কোনও দাবি সামনে না আশায় আশঙ্কা বাড়ছিল। অবশেষে বিমানের সব যাত্রীকে নিরাপদে মুক্তি দিয়ে ২ অপহরণকারী সাফ জানিয়ে দিল তারা লিবিয়ার প্রাক্তন শাসক মুয়াম্মর গদ্দাফির অনুগামী। ২০১১ সালে গদ্দাফিকে গদিচ্যুত করার লড়াইয়ে একসময়ে পালাতে গিয়ে একটি পাইপের মধ্যে লুকিয়ে পড়েন গদ্দাফি। আর সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। গদ্দাফির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার শাসনকে সম্মান জানিয়ে তাদের এই কাজ বলে জানিয়েছে দুজনে। মাল্টার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার লিবিয়ার সাহাবা থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে ১১৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় লিবিয়ার সরকারি বিমান সংস্থা আফ্রিকিয়ার বিমান। কিন্তু মাঝ আকাশেই বিমান হাইজ্যাক করে মলটার একটি দ্বীপে অবতরণ করানো হয়। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে হাইজ্যাক করা বিমানের ২ জন অপহরণকারী রয়েছে বলে দাবি করে মাল্টা সরকার। অপহরণকারীরা হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখায়। কিন্তু দুপুরের পর থেকে দফায় দফায় যাত্রীদের মুক্তি দিতে থাকে তারা। এভাবে একসময়ে ১১৮ জন যাত্রী সহ বিমানকর্মীদের সকলকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দিয়ে নিজেরাই আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় দিনভরের রুদ্ধশ্বাস নাটক।