
রাজারহাট থেকে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক কিডনি চক্রের পাণ্ডা টি রাজকুমারকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাজকুমারকে রাজারহাটে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেটের যৌথ বাহিনী। ওদিন রাতেই রাজকুমারকে জেরা করে আর ১ পাণ্ডার খোঁজ পায় পুলিশ। কিন্তু তাকে ধরার আগেই সে চম্পট দেয়। এদিকে রাজকুমারকে ট্রানজিট রিমান্ডে চেয়ে দিল্লি পুলিশের আবেদন মেনে নেয় বারাসত আদালত। দিল্লির হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কিডনি চুরির একটি চক্রের খোঁজ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তদন্তে নেমে ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রাজকুমারের খোঁজ পায় পুলিশ। রাজকুমারের কাছ থেকে ১টি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ। যেখানে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীর নাম রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে চেন্নাইয়ের ১ চিকিৎসকের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের অন্ধকার জগতে পা রাখে হায়দরাবাদের বাসিন্দা টি রাজকুমার রাও। এরপর ক্রমে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা হয়ে ওঠে সে। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়ল রাজকুমার? দিল্লির পাহাড়গঞ্জে ১টি হোটেল ভাড়া নেয় জলপাইগুড়ির মৌলিক দম্পতি। এরপরই স্ত্রী নিখোঁজ বলে দাবি করে স্থানীয় থানায় ডায়রি করে স্বামী দেবাশিস। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই নিখোঁজ ডায়রির নাটক করে দেবাশিস। নিখোঁজের সন্ধানে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় একটি হাসপাতালে দেবাশিস স্ত্রী মৌমিতার কিডনি বিক্রির বন্দোবস্ত করেছে। মৌলিক দম্পতিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাদের কাছেই রাজকুমারের খোঁজ পায় তারা।