
যা মুখে আসে তখন তাই চায়। কোনও বাঁধাধরা রেট নেই। আর বৃষ্টি-বাদলা হলে তো কথাই নেই! দুশো, তিনশোও চেয়ে বসে নির্দ্বিধায়। এমনই অভিযোগে অনেকদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার সকালে তা ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। অভিযোগ, মোটা টাকা ভাড়ায় রাজি হয়ে অটোয় ওঠার পরও যাত্রীদের একটু এগিয়ে নামিয়ে দেন এক অটোচালক। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই দীর্ঘদিনের চাপা অসন্তোষ ফেটে বেরিয়ে আসে। নিত্যযাত্রীরা পথ অবরোধ করেন উল্টোডাঙায়। সপ্তাহের প্রথম দিনে অফিস টাইমে স্তব্ধ হয়ে যায় উল্টোডাঙার মত ব্যস্ত রাস্তা।
যাত্রীদের অভিযোগ, উল্টোডাঙা থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে অনেক সময়েই লাগামছাড়া ভাড়া চান অটোচালকরা। কোনও লাইন মানার ব্যাপার নেই। যে যেখান থেকে খুশি যাত্রী তোলেন। অফিসের তাড়া নিয়ে একদিক থেকে অন্যদিকে ছুটে বেড়াতে হয় যাত্রীদের। তারপর যাও বা রাজি হয় তো এমন একটা ভাড়া হাঁকে যে তা শুনলে চমকে যেতে হয়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অফিস পৌঁছনোর তাড়ায় তাতেই রাজিও হয়ে যান। আর এই অসহায়তারই ফায়দা দিনের পর দিন তুলছেন অটোচালকরা। এই অভিযোগে এদিন যাত্রীদের পথ অবরোধ চলে ৪৫ মিনিট। অটোচালকদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও সমর্থন করেন সল্টলেক বা বাগুইআটি রুটে যাতায়াত করা অন্য নিত্যযাত্রীরা। দেখা যায় কমবেশি ক্ষোভ সকলের মধ্যেই জমে আছে। নির্দিষ্ট রেট ও নির্দিষ্ট জায়গা থেকে লাইন করে অটো ছাড়ার নিয়মের দাবি করেন অনেক যাত্রী।