
মাথার ওপর পাইপ পড়ে মৃত্যু হল এক নিরাপত্তারক্ষীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে। মৃতের নাম উমেশ ঠাকুর। বহু বছর ধরে অভিজাত আবাসনটির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মত এদিনও নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ আচমকাই প্রবল হাওয়ায় আবাসনের ১০ তলার আলগা হয়ে আসা একটি ১২ ফুটের মরচে ধরা লোহার পাইপ খুলে গিয়ে আছড়ে পড়ে তাঁর মাথার ওপর। জোরালো আঘাতে নিরাপত্তারক্ষীর মাথা আড়াআড়ি চিড়ে যায়। ফিনকি দিয়ে রক্ত বার হতে থাকে। ২-৩ মিনিট মেঝেতে পড়ে ছটফট করার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি দেখে হকচকিয়ে যান আবাসনের বাকি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। মৃত নিরাপত্তারক্ষীর অপমৃত্যুকে পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসনের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা এবং অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃতের দেহ আটকে রেখে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের। আবাসনের ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়াতেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল, যা তাঁদের সঙ্গেও হতে পারত বলে অভিযোগ অন্য নিরাপত্তারক্ষীদের। পরে লালবাজার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে মৃত উমেশ ঠাকুরের দেহ উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।













