Kolkata

বামেদের ডাকে বন্‌ধ, টেরও পেল না কলকাতা থেকে জেলা

বামেদের ডাকা ৬ ঘণ্টার বন্‌ধ এদিন কার্যত ‘সুপার ফ্লপ শো’-এ পরিণত হল। বাকি দিনগুলোর মতই এদিনও স্বাভাবিক ছন্দে ছিল তিলোত্তমার মেজাজ। রাস্তাঘাটে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে অফিসমুখো যাত্রীদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক। রাস্তায় অন্যদিনের মতই চলেছে সরকারি, বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, ওলা, উবের। দফতরের নির্দেশ মেনে এদিন সকাল থেকে সরকারি বাসের চালকদের মাথায় ছিল হেলমেট।

নবান্নের তরফে আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে শুক্রবার গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কোনও সরকারি কর্মচারি ছুটি নিতে পারবেন না। তাই সরকারি দফতরগুলিতে কর্মচারিদের হাজিরা ছিল একেবারে স্বাভাবিক। বেসরকারি অফিসও ছিল স্বাভাবিক ছন্দে। অশান্তি রুখতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এদিন মোতায়েন করা হয় ৩৫৭টি পুলিশ পিকেট। তবে কোথাও কোনও ঝামেলা সেভাবে হয়নি। সকালের দিকে বড়বাজার, সল্টলেক, লেকটাউন, যাদবপুর অঞ্চলে বামেদের মিছিল বার হলেও কোথাও কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিনের মতই সচল ছিল বিমান পরিষেবা। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ছিল একদম স্বাভাবিক। শুধু কলকাতা বলেই নয়, গোটা রাজ্যের কোথাওই বন্‌ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। অনেক জায়গায় বন্‌ধের দিন রাস্তায় নামার পরিকল্পনা থাকলেও তা কর্মী সমর্থকের অভাবে বাতিল করে বাম আঞ্চলিক নেতৃত্ব। কর্মী সমর্থকের অভাবে সিপিএমের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি এদিন বাতিল হয়ে যায় হাওড়ার ডোমজুড়ে।

দু-একটি জায়গায় বাম সমর্থকেরা এদিন বন্‌ধ করানোর চেষ্টা করলেও পুলিশি তৎপরতায় সেই চেষ্টা ধোপে টেকেনি। বারাসতে বাম কর্মী সমর্থকেরা পথ অবরোধের চেষ্টা করেন। হাওড়ার দাশনগর ও দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরেও পুলিশের সঙ্গে বন্‌ধ সমর্থকেরা ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক জায়গায় মিছিল বার করে বামেরা। কিন্তু তার কোনও প্রভাব জনজীবনে পড়েনি। রাজ্যবাসী এদিন একটা জিনিস পরিস্কার করে দিয়েছেন। অতীতের সেই বন্‌ধ বা হরতালের কর্মনাশা দিন তাঁরা আর চাননা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *