Kolkata

শিক্ষিকাকে তালাবন্ধ করে অভিভাবকদের প্রতিবাদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার

দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। স্কুলের কোনও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করেননা। নিজের ক্ষমতার দৌড় ও প্রতাপ বোঝাতে কথায় কথায় উপরমহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে সকলকে ধমকান, ভয় দেখান। এমনকি খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। এমনই সব মারাত্মক অভিযোগের আঙুল যাঁর দিকে উঠেছে, তিনি দক্ষিণ কলকাতার পূর্ব বড়িশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। নাম পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকা নিয়ম বহির্ভূত আচরণ করে গেছেন। এই অভিযোগকে ঘিরে সোমবার স্কুল খুলতেই ওই শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের বিক্ষোভের কথা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষিকার ফোন পেয়ে স্কুল চত্বরে এসে শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মারধর, গালিগালাজ করেন। যদিও অভিভাবকদের হাতে পাল্টা তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ এদিন অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে যখন অভিভাবকরা স্কুল চত্বরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদে মুখর, তখন ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। অভিভাবকদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রধান শিক্ষকও দাবি করেন ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সত্যি। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছেমত স্কুলে আসেন ওই শিক্ষিকা। না এলেও পরের দিন সই করে দেন। শিক্ষকদের ভয় দেখান। স্কুলে গণ্ডগোল থামাতে বেলার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে আসতে মানা করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *