অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল পূর্বাভাস। ঘড়ির কাঁটা রাত ৯টা ছুঁতেই ছুটে এল শীতল বাতাস। ঝড়ের শোঁ শোঁ শব্দে তখন উথালপাতাল করছে শহরের গাছগাছালি। রাস্তায় চক্কর দিচ্ছে ধুলোর কুণ্ডলী। বাড়িতে বাড়িতে আছাড় দিচ্ছে জানালা, দরজা। ছুটোছুটি চলছে ঝড়ের হাত থেকে শুকোতে দেওয়া জামাকাপড় ঘরে তোলার জন্য। বাড়ির সবাই মিলে লেগে পড়লেন জানালা, দরজা বন্ধ করতে। শুক্রবারের রাতের সঙ্গে এ ছবি মিলে গেল হুবহু। সেই ঝড় আর তার হাত ধরে কিছুক্ষণ পর ঝমঝম করে বৃষ্টি। তবে শুক্রবার ঝড়ের স্থায়িত্ব শনিবারের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। বৃষ্টি যখন নামল তখন শহরে শনিবাসরীয় রাত। রাতের কলকাতা ভিজে নেয়ে একাকার। আর বাড়ির জানালায় বসে শহরবাসী তখন ব্যস্ত গরমে তেতে ওঠা দেহটাকে ঠান্ডা করার অমোঘ নেশায়। বৃষ্টির হাল্কা গুঁড়ি নিয়ে ভেসে আসা ঠান্ডা দমকা হাওয়ায় শরীরের সব তাপ যে নির্গমন শুরু করেছে তা আক্ষরিকভাবেই টের পেলেন তাঁরা। এদিন ঝেঁপে হয়েছে বৃষ্টি। চলেছে প্রায় ৩০ মিনিট। একটানা, অনর্গল। রাতে যখন বৃষ্টি থামল তখন শহর জুড়িয়ে জল হয়ে গেছে। শনিবাসরীয় রাতে তখন একটা দুর্দান্ত ঘুম হাতছানি দিয়ে ডাকছে। গরমের ধাক্কায় উড়তে বসা ঘুম কোথায় যে লুকিয়ে ছিল কে জানে। ছুটির আগের রাতে এমন একটা মজলিসি বাদল হাওয়া মাথায় হাত বুলিয়ে দিল গোটা শহরটার। প্রকৃতির যাদুকাঠির ছোঁয়ায় তন্দ্রাটা ক্রমশ চোখ ভারী করে দিল। অল্প সময়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দল শহরবাসী।
Read Next
March 19, 2024
ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল, এক বঙ্গসন্তানের হাতে দায়িত্ব সঁপল কমিশন
March 18, 2024
ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে নতুন ডিজি বেছে নিল নির্বাচন কমিশন
March 15, 2024
গন্তব্যে পৌঁছতে এক রোমহর্ষক সফর উপভোগ করলেন কলকাতাবাসী
March 14, 2024
মাথায় ৪টি সেলাই, রাতে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী
Related Articles
Comments