জামশেদপুরের মেয়ে। পড়তে এসেছিলেন কলকাতায়। পড়তেন লরেটো কলেজে। প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। থাকতেন মিডলটন রোয়ের ওয়াইডব্লিউসিএ হস্টেলে। রাস্তার দিকের ঘর ছিল তাঁর। ৩ জন ছাত্রী শেয়ার করতেন ওই হস্টেল রুম। ঘর লাগোয়া বাথরুম। সেই বাথরুম থেকেই উদ্ধার হল রিয়া চৌধুরী নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। সোমবার রাতে শেক্সপিয়ার সরণী থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখতে চাইছে। কারণ আত্মহত্যা হলে সাধারণত সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। কিন্তু রিয়ার ক্ষেত্রে তা উদ্ধার হয়নি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, রিয়া অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী হিসাবেই পরিচিত। তিনি পরীক্ষা বা পড়াশোনা নিয়ে সবসময়ে চাপে থাকতেন। বিগত কয়েকমাসে পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হচ্ছিল না বলে মানসিক দিক থেকে চাপে ছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর হিন্দি পরীক্ষার ফল বার হয়। সেই পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হওয়াতেই রিয়া আত্মহত্যা করেন বলে মনে করছেন তাঁর হস্টেলের বন্ধুরা। তবে পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে। এটা খুন না আত্মহত্যা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ খবর দেওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেই জামশেদপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন রিয়ার শোকার্ত বাবা-মা।