Kolkata

ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে সাসপেন্ড ছাত্র নেতা

গত বছর ৪ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বঙ্গরাজনীতিতে। ফুটেজটি ছিল হুগলির রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজের ইউনিয়ন রুমের। চাঞ্চল্যকর ফুটেজে কলেজের ছাত্র সংসদের জিএসের হাতে মার খেতে দেখা গিয়েছিল এক তরুণীকে। ওই তরুণী ছিলেন ওই কলেজেরই ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক। মারধর, শ্লীলতাহানি ও শারীরিক সম্পর্কের জন্য তরুণীর ওপর চাপ সৃষ্টি। এতগুলো অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত জিএসকে। এবার কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতর তৃণমূল ছাত্র যুব নেতার ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বাইপাসের সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত আনিরুল হালদার ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি।

অভিযোগ, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ছাত্রীটির দাবি, গত সোমবার কলেজে পাশ-ফেল নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তিনি আন্দোলন করছিলেন। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সেই আন্দোলনে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। সেই বিষয়ে সম্মতি ছিল না অভিযোগকারিণীর। তাঁর দাবি, এরপরেই ওই ছাত্র নেতার রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ছাত্রীটির অভিযোগ, কলেজে অশ্লীল জামা পড়ে এলে তাঁকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এমনকি মনে হলেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা যায় বলেও হুমকি আসে ওই ছাত্রনেতার দিক থেকে। গত মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রী। অভিযুক্তের তাঁকে ধর্ষণ করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার কথা খুলে বলেন কর্তৃপক্ষকে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বৃহস্পতিবার ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত ছাত্র নেতাকে। তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নিগৃহীতা ছাত্রীকে আশ্বস্ত করেছে কলেজ প্রশাসন। একইভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছে টিএমসিপি। ওই ছাত্রনেতাকে সহসভাপতি পদ থেকে সরানোই নয়, যতদিন না তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছেন, ততদিন দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক থাকবে না বলেও টিএমসিপির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *