Kolkata

হাসপাতালের দরজায় অ্যাম্বুলেন্সে কাতরাচ্ছে রোগী, দেখতে এলনা কেউ, ক্ষুব্ধ পরিবার

সকাল পৌনে ৭টা। শ্বাসকষ্ট চরমে ওঠায় কসবার বাসিন্দা বছর ৫৪-র অলোক দাসকে নিয়ে আসা হয় বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে। সায়েন্স কলেজের কর্মী অলোকবাবু বরাবর এই হাসপাতালেই চিকিৎসা করান। এদিন অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে আসা হলেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয় এমারজেন্সিতে কোনও বেড ফাঁকা নেই। এমনই দাবি করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই ক্রমশ অবনতি হতে থাকে অবস্থার। পরিবারের দাবি, যা পরিস্থিতি ছিল তাতে তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থাই ছিল না। ফলে তাঁরা বারবার অ্যাপোলো হাসপাতালের রিসেপশনে অনুরোধ করতে থাকেন, যেন তাঁদের রোগীকে কোনও চিকিৎসক একবার পরীক্ষা করেন। কিন্তু এক ঘণ্টার ওপর ওভাবে পড়ে শ্বাসকষ্টে কাতরাতে থাকা অলোকবাবুকে দেখতে একজনও চিকিৎসক আসেননি বলে অভিযোগ পরিবারের।

সকাল ৮টার পর অলোকবাবুকে হাসপাতালের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা অলোকবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, হাসপাতাল যদি একটু আগে ব্যবস্থা নিত তাহলে অলোকবাবুকে এভাবে মরতে হত না। চিকিৎসা না করে ফেলে রাখার অভিযোগে এদিন সকালে অ্যাপোলো হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button