জিডি বিড়লা কাণ্ডে এদিন বেলা ১১টা নাগাদ স্কুলের সামনে হাজির হন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তখনই অভিভাবকরা জানিয়ে দেন তাঁরা এই আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রং লাগতে দেবেন না। এটা নেহাতই বাবা-মায়েদের আন্দোলন। যদিও রূপা জানান, তিনি রাজনীতিক হিসাবে নন, একজন মা হিসাবে এসেছেন। এরপর তিনি বিকেল পর্যন্ত সেখানে বসে থাকলেও কার্যত অভিভাবকদের দ্বারা উপেক্ষিতই ছিলেন। বিকেলের দিকে আচমকাই তিনি জোর করে স্কুলে ঢুকতে যান। পুলিশ বাধা দিলে প্রবল বচসা শুরু হয়। তাঁকে বার করে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা হলে তিনি হাতে ও পায়ে আঘাত পান বলে দাবি করেন রূপা। আঘাতে একবার যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠতেও দেখা যায় তাঁকে।
এদিকে এদিন আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতে অভিযুক্ত ২ শিক্ষককে পেশ করে পুলিশ। এখানে তাদের আসার আগে থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরা। স্লোগান দিতে থাকেন। এরমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃত দুই অভিযুক্তের ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি নির্যাতিতা শিশুর গোপন জবানবন্দি গ্রহণেও ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত।
এদিন বিকেলের দিকে স্কুলে হাজির হয় একটি তদন্তকারী দলও। তারা স্কুল ঘুরে দেখে। সূত্রের খবর, যে শৌচাগারে শিশুটির সঙ্গে যৌন নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই শৌচাগারও তদন্তকারী দল খতিয়ে দেখে। এদিন বিকেলের দিকে কিছু কলেজ পড়ুয়া জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে হাজির হয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হন। পাশে দাঁড়ান আন্দোলনরত অভিভাবকদের।