Kolkata

সন্দেহ-মারধর, সম্পর্কের টানাপোড়েনে রহস্য মৃত্যু যুবতীর

সম্পর্কের টানাপোড়েন কেড়ে নিল যুবতীর প্রাণ। চারু মার্কেট থানা এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার নাম উর্মি দাস। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পেশায় ব্যবসায়ী প্রেমিককে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে ২২ বছরের উর্মির সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয় অন্য একজনের। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। এরপর উর্মির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর বর্তমান প্রেমিক সুদীপ্ত দাসের। সুদীপ্তর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মেনে নেয়নি উর্মির পরিবার। অগত্যা একসঙ্গে তাঁরা ভাড়া বাড়িতে লিভ টুগেদার করা শুরু করেন। টাকা পয়সা চাওয়া, পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে প্রেমিকার কথা বলা বিভিন্ন কারণে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। তাঁদের ভাড়ার বাড়িতে মাঝে মাঝেই পার্টির আয়োজন করা হত। তা নিয়েও অশান্তি হত দুজনের মধ্যে। সুদীপ্তর চাপে পড়ে উর্মি তাঁর চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিতে বাধ্য হন বলে উর্মির পরিবারের অভিযোগ। এমনকি উর্মির গায়ে প্রায়শই হাত তোলা‌রও অভিযোগ রয়েছে সুদীপ্তর বিরুদ্ধে। জেরায় সুদীপ্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে উর্মির সঙ্গে তাঁর একপ্রস্ত ঝামেলা হয়। এরপর তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। রাতে ঘরে ফিরে বিছানার চাদর গলায় জড়ানো অবস্থায় ঝুলন্ত উর্মিকে দেখতে পান তিনি। দ্রুত তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা ‌উর্মিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ধৃত সুদীপ্তর দাবি, মানসিক অশান্তির জন্যই অভিমানে উর্মি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও মৃতার পরিবার তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। উর্মির মৃত্যুর জন্য সুদীপ্ত ও তাঁর মাকে দায়ী করছেন তাঁরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *