Kolkata

ভ্যনিশিং ইঙ্ক দিয়ে অভিনব জালিয়াতি! পুলিশের জালে ৩

প্রথমে বাড়িতে ফোন। লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে ইচ্ছুক মানুষদের কাছে একটু সময় চাওয়া। তারপর ঠিক সময়ে বাড়িতে পৌঁছে ঋণ পাওয়ার পদ্ধতিগত দিক বোঝানো। ঋণ পেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে সব বোঝানোর পর ২ টো ক্যানসেলড চেক কেটে দিতে বলত তারা। ঋণ পাওয়ার শর্ত একটাই ঋণগ্রহীতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। তাতে ঋণগ্রহীতা রাজি হলে চেক কাটতে বলত তারা। চেক ২টি ক্যানসেল করার জন্য নিজেরাই পেন এগিয়ে দিত ঋণগ্রহীতার দিকে। সেই পেনে ক্যানসেল লিখে সরল বিশ্বাসে ২টি চেক তাদের হাতে ধরিয়ে দিতেন ঋণগ্রহীতা। এবারই শুরু হত আসল খেলা। চেক নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই ভ্যানিশিং ইঙ্কের ম্যাজিকে চেকে লেখা ক্যানসেল কথা যেত উবে! এবার একটা বিশেষ ধরণের রবার দিয়ে চেকের পাতা আরও পরিস্কার করে নিয়ে ফাঁকা চেকে পছন্দমত টাকার অঙ্ক বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত তারা। এভাবে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে প্রায় জনা ষাটেক মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বিনয় জয়সওয়াল ওরফে অঙ্কিত শর্মা, ধীরজ গুপ্তা ও সাদাম আনোয়ার ওরফে অবিনাশ। প্রথম ২ জন উল্টোডাঙার বাসিন্দা, সাদাম চিৎপুরের। এতদিন জালিয়াতি চালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হলনা। পুলিশের জালে ধরা পড়ল এই ৩ জালিয়াত। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।


 



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button