Kolkata

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই কলোনি, মৃত ২

রাত তখন প্রায় পৌনে ৩টে। পাতিপুকুরের রেললাইনের ধার ধরে সুভাষ কলোনি তখন লেপের তলায় ঘুমিয়ে কাদা। এমন সময়ে আগুনের লেলিহান শিখায় ঘুম ভাঙে কয়েকজনের। মাথার ওপর চাল জ্বলছে দাউদাউ করে। ধড়ফরিয়ে বিছানায় উঠে বসে সকলকে ডাকার অপেক্ষা। তারপরই যে যারমত আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে করতে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। আগুন যে গতিতে ছড়াচ্ছিল তখন আর প্রয়োজনীয় জিনিস বার করার সময়টুকুও নেই। প্রাণ বাঁচিয়ে বার হতে পারলেই অনেক কিছু। রাতেই রেললাইনের ওপর খোলা আকাশের নিচে স্থান হয় সুভাষ কলোনির বাসিন্দাদের। চোখের সামনে তখন ভয়ংকর আগুনে শেষ হয়ে যাচ্ছে সাধের গৃহকোণটুকু। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। ভেজা চোখে সকলে দেখলেন আস্তে আস্তে ছাই হয়ে গেল তাঁদের সাজানো সংসার। দমকল আসে দ্রুতই। কিন্তু ঝুপড়িতে আগুন ছড়ায় আরও দ্রুত। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ ছিলনা। অপরিসর এলাকায় দমকলের কাজ করতেও বেগ পেতে হয়। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তখন আর কিছু পড়ে নেই। শেষ সম্বলটুকুও পুড়ে কালো ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর চোখের সামনে উদ্ধার হয় দুটি দগ্ধ দেহ। পরে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে এই সবহারানো মানুষজনকে সবরকম সাহায্য দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। স্থানীয় ২টি স্কুলে তাঁদের অস্থায়ী থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান শান্তনুবাবু। এদিকে এদিন সকাল গড়িয়ে দুপুর। তখনও চোখের জল বাঁধ মানছে না সদ্য ঘর হারানো মানুষগুলোর। তখনও ছাইয়ের গাদায় তাঁদের কয়েকজন খুঁজে দেখছেন। যদি শেষ পর্যন্ত সামান্য কিছুও বেঁচে গিয়ে থাকে!

 


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button