Kolkata

দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তাল মানিকতলা

দুই অঞ্চলের যুবকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মানিকতলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার রাত থেকে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। যা মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দু’পক্ষই একে অপরের দিকে দেদার পাথর, ইট, কাচের বোতল বৃষ্টি করে। মধ্যরাতের দিকে পড়ে বোমাও। পরে পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। নামে ব়্যাফ। একে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শান্তিরঞ্জনবাবুর দাবি, এটা মাতালদের মধ্যে গণ্ডগোল। এর সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। বেলায় ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। তিনিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, দল একসঙ্গে আছে। এটা দুই পাড়ার সামান্য গণ্ডগোল। যা তিনি বসে মিটিয়ে দেবেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত স্বাধীনতা দিবসের রাতে। সকালে এখানে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে খেলাকে কেন্দ্র করে সুভাষপল্লী ও কৃষ্ণপল্লীর ছেলেদের মধ্যে বচসা হয়। যা দ্রুত মিটেও যায়। রাতে ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। অভিযোগ, সুভাষপল্লীর যুবকরা কৃষ্ণপল্লীর ১ যুবককে একা পেয়ে ব্যাপক মারধর করে। যা শুনে তেতে ওঠে কৃষ্ণপল্লী। তারাও পাল্টা সুভাষপল্লীর যুবকদের আক্রমণ করে। এই থেকে শুরু হয় দু’পক্ষে মারপিট। হাতিয়ার হিসাবে পাশের রেল লাইনের পাথর থেকে শুরু করে, ইট, বোতল কিছুই বাদ যায়নি। রাতে বোমাও পড়ে। সারারাতের পর সকালেও দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে হওয়া সংঘর্ষে ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় ব়্যাফের টহলদারি। তবে এদিন দিনভরই সুভাষপল্লী ও কৃষ্ণপল্লী অঞ্চলে চাপা উত্তেজনা ছিল।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *