বেনজির বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয়া থেকেই স্কুলে ছুটি শুরু
এমন বৃষ্টি কলকাতা বোধহয় কখনও দেখেনি। কার্যত মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা। এমন অনেক জায়গা জলের তলায় যেখানে জল জমার কথা ভাবনার অতীত।

একটা রাত জুড়ে যে বৃষ্টি কলকাতা সহ হাওড়া ও হুগলি জেলা দেখল তা এখানকার বাসিন্দাদের অচেনা। এমন প্রলয়ঙ্কর বৃষ্টি অনেক বয়স্ক মানুষও মনে করতে পারছেন না দেখেছেন কিনা!
মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কথা শহর কলকাতার মানুষ শুনেছেন বটে, কিন্তু এদিনের বৃষ্টিতে কার্যত তা দেখাও হয়ে গেল। প্রায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির শিকার হল পুজোর মুখের শহর কলকাতা।
দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতায় প্রায় সব রাস্তাই জলের তলায় চলে গেছে। সকালে বৃষ্টি না থাকলেও শহর কলকাতায় বুক বা কোমর সমান জল নিয়ে হাতেগোনা মানুষ রাস্তায় নামেন। বলা ভাল বাধ্য হন।
অধিকাংশ বাজার ছিল বন্ধ। অনেকে অফিসে ছুটি নেন। স্কুলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীকেই পাঠাননি অভিভাবকরা। রাস্তায় বাস প্রায় নেই বললেই চলে। ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাবও উধাও। যাঁদের অফিস বা কর্মস্থলে যেতেই হয়েছে তাঁরা রাস্তায় বার হয়ে আতান্তরে পড়ে যান।
এদিন বানভাসি শহরের যেটুকু অংশে জল নেমেছিল সেখানে জঞ্জালের স্তূপ, প্লাস্টিকের আবর্জনা পরিস্থিতি দুর্বিষহ করে তোলে। অনেক জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা স্তব্ধ হয় প্লাস্টিকের জন্য।
এদিন যাঁরাই রাস্তায় বার হয়েছেন তাঁদেরই জল ভাঙতে হয়েছে। অনেক জায়গায় গাড়ির মাথাটুকু দেখতে পাওয়া গেছে। বাইক স্কুটার অনেক রাস্তায় জলের জন্য থমকে যায়।
দ্বিতীয়ার দিন যে ভয়ংকর পরিস্থিতি কলকাতা দেখল তা কার্যত ভয় ধরাল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি স্কুলে আগাম পুজোর ছুটি ঘোষণা করে দেন।
শুক্রবার ক্লাস হয়ে সরকারি স্কুলে পুজোর ছুটি পড়ার কথা। সেখানে এদিন থেকেই পুজোর ছুটি ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলেজের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য। এমনকি বেসরকারি স্কুলগুলির কাছেও এখনই পুজোর ছুটি ঘোষণার আবেদন করেছেন মমতা।