Kolkata

সপ্তমীর সকাল থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি, স্নানের আগেই ভিজল কলাবউ

পূর্বাভাস মেনেই সপ্তমীর সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সপ্তমীর সকালে ঘুম ভেঙে মন খারাপ সকলের।

বঙ্গোপসাগরে জমাট বেঁধেছে নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি যে পুজোর দিনগুলো মাটি করতে পারে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।

ষষ্ঠীর বিকেল পর্যন্ত মেঘে ঢাকা আকাশে ঠাকুর দেখলেও বৃষ্টির মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু সন্ধেয় যে বৃষ্টি হয় তাতে ঠাকুর দেখায় একটা বাধা তো পড়েই। যদিও বৃষ্টি থামার পর অনেকেই ঠাকুর দেখতে বার হন।

ষষ্ঠীর বৃষ্টি ছিল চরম আর্দ্রতার কারণে বৃষ্টি। যে কারণে মানুষ দরদর করে ঘামছিলেন। সেই ঘামের সমস্যা বৃষ্টির পর মিটে যায়।

কিন্তু সপ্তমীর সকালে যে মেঘে ঢাকা বর্ষণমুখর আকাশ দেখে ঘুম ভেঙেছে সকলের তা কিন্তু নিম্নচাপের কারণে। যার জেরে বৃষ্টি শুরু হয় অনেক জায়গায়।

নবপত্রিকা বা লোকমুখে চলিত কলাবউ স্নান সপ্তমীর সকালের এক অন্যতম বিষয়। সেই নবপত্রিকা স্নান করাতে নিয়ে গিয়ে গঙ্গা বা পুকুরে ডুব দেওয়ার আগেই নবপত্রিকা ভিজে একসা হয়ে যায়।

শরতের পেঁজা তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়ানো নীল আকাশ, ঝলমলে সোনা রোদ, এটাই পুজোর দিনগুলোয় আদর্শ পরিবেশ। কিন্তু এবার তা বদলে পুজোয় বর্ষার আমেজ।

এই মেঘ সপ্তমী ও অষ্টমী তো পিছু ছাড়বেই না, এমনকি নবমী, দশমীতে বৃষ্টির প্রকোপ কমলেও মেঘে ঢাকা আকাশের হাত থেকে রেহাই নেই। অন্তত এমনই পূর্বাভাস।

ষষ্ঠীর সন্ধেয় প্রবল বর্ষণ কিন্তু মানুষকে কিছুক্ষণের জন্য থমকে দিলেও ঠাকুর দেখার উৎসাহ থেকে বিরত করতে পারেনি। সপ্তমীও তার ব্যতিক্রম হবেনা বলে মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। দরকারে ছাতা মাথায় দিয়েও ঠাকুর দেখতে প্রস্তুত অনেকে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *