
ডাকাতির ৫ দিনের মাথায় ডাকাতদলকে পাকড়াও করল পুলিশ। ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড সহ ৬ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন বিহারের বাসিন্দা। বাকি ২ জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালি ও কুলতলির বাসিন্দা। তাদের ঝড়খালি ও বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও ১ জন পলাতক। পুলিশ সূত্রের খবর, ডাকাতির মূল পাণ্ডা ছিল চক্রবর্তী পরিবারের প্রতিবেশির রাঁধুনি সীতারাম দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তার এ বাড়িতে যাতায়াত ছিল। ফলে বাড়ির কোথায় কী আছে তা বিলক্ষণ জানত সে। তারই মাথায় প্রথম আসে ডাকাতির ছক। কিন্তু একা ডাকাতি সম্ভব নয় বলে সে সঙ্গীসাথী জোগাড় শুরু করে। ৩ পরিচারকের কাজ করা বন্ধুকে দলে আনে সীতারাম। তারা আবার কেষ্টপুর এলাকায় তাদের পরিচিত ৩ অটোচালককে দলে ভেড়ায়। পরিকল্পনা হওয়ার পর গত ১ মাস ধরে চলে রেইকি। কে কখন বাড়িতে ঢোকেন, কে কখন বার হন, বাড়িতে কখন কী অবস্থা থাকে, এসব। তারপর সীতারামের নেতৃত্বে গত শুক্রবার ডাকাতি করে তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় তারা দোষ কবুল করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না, ল্যাপটপ, টাকা। এদিন ধৃতদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হলে মূল পাণ্ডা সীতারাম সহ আরও ১ জনকে পুলিশ হেফাজত ও ৪ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এখনও পলাতক ১ জন। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।