প্রতীকী ছবি
কলকাতা : অভিজাত পরিবারের সন্তান। কলকাতার একটি নামী স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আগে থাকত মুম্বইতে। বাবা কর্মসূত্রে গত বছর থেকে কলকাতার বাসিন্দা। বাইপাসের ধারে আনন্দপুর এলাকার একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গে থাকত ওই ছাত্র। তারই রক্তাক্ত দেহ মিলল ওই আবাসনের ৫ নম্বর টাওয়ারের তলা থেকে।
রক্তে ভেসে যাওয়া ওই কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা ওই ছাত্র তাদের ২৪ তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অত ওপর থেকে পড়ার পর বাঁচার আশা এমনিতেই থাকেনা। ঘটনায় আবাসনে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই ছাত্র বড় হয়ে উঠেছে মুম্বইতে। গত বছরই তারা কলকাতায় আসে। কলকাতার একটি নামী স্কুলে পড়াশোনা করত সে। গত বছর কলকাতায় আসার পর এই বছরের মার্চ থেকেই লকডাউন শুরু হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ছাত্র চরম অবসাদের শিকার ছিল। ক্রমশ তার অবসাদ বাড়ছিল। এটা লকডাউনের কারণেও হতে পারে, অথবা পড়াশোনা নিয়ে বাড়তে থাকা চিন্তার কারণেও হতে পারে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তবে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ। কোনও সুইসাইড নোটের হদিশ পুলিশ পায়নি।
ওই কিশোর এদিন আচমকাই এমনভাবে ঝাঁপ দিল কেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের সঙ্গে তার কোনও ঝগড়া হয়েছিল কিনা তারও খোঁজ চলছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। আবাসনের যে আবাসিকরা ওই ছাত্রের দেহ পড়ে থাকতে প্রথম দেখেন তাঁরা এখনও সেই দৃশ্য ভুলতে পারছেন না।
এক তরতাজা ছাত্র এভাবে কেন আত্মহত্যা করতে যাবে তা তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে চরম অবসাদ থেকে লকডাউনের মধ্যে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। এমন ঘটনা এ দেশে ঘটেছে।