Kolkata

শহরের অভিজাত এলাকা থেকে উদ্ধার দম্পতির দেহ

কলকাতার অভিজাত লেক গার্ডেন্স এলাকার একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হল এক তরুণ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ।

কলকাতা : বিয়ে হয়েছে সবে ৪ বছর হয়েছে। তরুণ দম্পতির বিয়ে সুখের হয়েছিল। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটছিল তাঁদের। হাসিখুশি ছিলেন ২ জনই। মিশতেন সকলের সঙ্গে। ফলে তাঁদের অনেকে চিনতেন। ২ পরিবারও দম্পতির সুখের সংসার দেখে সুখী হয়েছিল। অরিজিত দত্তের ছিল অ্যাপ নির্ভর গাড়ির ব্যবসা। যা থেকে তাঁর পরিবার সচ্ছলভাবেই চলছিল। এরমধ্যেই অরিজিত ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা দত্তের কোল আলো করে আসে এক ছোট্ট শিশু।

সন্তান আসার পর অরিজিত-সুপর্ণার জীবন যেন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। ছোট্ট সংসারে ৩ জনে আনন্দে দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তাঁদের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই অসুস্থতা আর সারেনি। তাঁদের পুত্র সন্তানের মৃত্যু হয় মাস চারেক আগে। সন্তানের এমন মৃত্যু সহ্য করতে পারেননি ২ জন। তারপর থেকেই ক্রমশ মানসিক অবসাদে ডুবে যেতে থাকেন তাঁরা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দম্পতির ২ পরিবারও সেকথা মেনে নিচ্ছে। সন্তানের এমন এক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছিলেন না ২ জনে। এদিকে করোনা আবহে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। গাড়ির ব্যবসায় মন্দা তৈরি হয়। ফলে আর্থিক দিক থেকেও চাপে পড়েন দত্ত দম্পতি। অবশেষ তাঁদের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল মহালয়ার দিন সকালে। কেএমডিএ-র হাউজিং কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের ২ জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিলিং থেকে ঝোলানো হুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল ২ জনের দেহ। তাঁদের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। জানা গেছে তাতে দম্পতি তাঁদের মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী নন বলেই লিখে গেছেন।

পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান এটা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে পর্যন্ত তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাইছে না।

এদিকে এলাকায় পরিচিত মুখ অরিজিত ও সুপর্ণার এমন এক মৃত্যুতে অনেকেই শোকাচ্ছন্ন। অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না দম্পতির এভাবে চলে যাওয়া।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *