Kolkata

কান ধরে ওঠবোস, লাঠিপেটা, পুলিশের কড়া হাতে সফল লকডাউন

বুধবারের পর শনিবার রাজ্যজুড়ে লকডাউন সফল হল। আর তা সম্ভব হল পুলিশের কড়া অবস্থানের হাত ধরেই।

কলকাতা : পুলিশ কড়া হলে লকডাউন শব্দটাকে যে কতটা যথার্থ করা যায় তা এ রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন শুরুর পর থেকেই নজর কাড়ছিল। যেদিন লকডাউন থাকবে সেদিন বাড়ি থেকে অকারণে বার হলেই পুলিশ এতটা কড়া হাতে বিষয়টিকে নিয়েছে যে লকডাউন সুন্দরভাবে সফল হয়েছে। শনিবার কিন্তু সকাল থেকেই পুলিশের মনোভাব ছিল ভীষণ কড়া। সকাল থেকেই কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশি নজরদারি। মোতায়েন ছিলেন প্রচুর পুলিশ। এছাড়া গাড়িতেও ঘুরেছেন পুলিশকর্মীরা।

সকালে প্রত্যেক জায়গাতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে বা পথ চলতি হলে তাঁকে দাঁড় করিয়ে রাস্তায় বার হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে পুলিশ। সদুত্তর না দিতে পারলেই পুলিশ কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছে। কোথাও আটক করা হয়েছে এভাবে লকডাউন ভেঙে অকারণের বাড়ি থেকে বার হওয়ার জন্য। আবার কোথাও রাস্তার ওপরই কান ধরে ওঠবোস করানো হয়েছে। কান ধরে ওঠবোসের সময় বয়সেরও তোয়াক্কা করেনি পুলিশ। বয়স্ক মানুষরাও ছাড়া পাননি। আবার কোথাও রাস্তায় জটলা হলে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেছেন পুলিশকর্মীরা। মুহুর্তে ছুট লাগিয়েছেন জটলাকারীরা। হাতের কাছে পেলে লাঠির ঘাও পড়েছে তাঁদের ওপর।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এভাবেই কলকাতা থেকে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র চিত্রটা মোটামুটি একই ধরা পড়েছে। লকডাউনে যে কোনওভাবেই আর রাস্তায় অকারণে বার হওয়া মেনে নেওয়া হবে না তা পরিস্কার করে দেওয়া হয় সকলের কাছে। নাগেরবাজারের কাছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার মহিলা লকডাউন অমান্যকারী স্কুটার আরোহীকে ধরতে গেলে পায়ে চোট পান। ওই ব্যক্তিকে পরে আটক করে পুলিশ। অন্যত্রও লকডাউন অমান্যকারীদের নানা সাজা দিয়েছে পুলিশ। যেমন হাওড়ায় এক ব্যক্তিকে মুখে মাস্ক না থাকায় তাঁর পরনের জামা খুলিয়ে মুখে বেঁধে যেতে বাধ্য করে পুলিশ।

লকডাউনে গলিঘুঁজির মধ্যে বা কোনও বাড়ির ছাদে আসর জমেছে কিনা, জটলা হয়েছে কিনা, একসঙ্গে অনেকে মিলে আড্ডা চলছে কিনা সেদিকেও নজর ছিল পুলিশের। এজন্য ভরসা ছিল ড্রোন। শ্যামবাজার থেকে নিউমার্কেট চত্বর, এদিন সকালে বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালায় পুলিশ। ফলে রাস্তা বলেই নয়, বাড়ির ছাদ বা গলিতেও কোনও জটলার হদিশ মিলেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *