Kolkata

কড়া পুলিশ, তবু রবিবারের সকালে বাজারে কেনাকাটা

বাজারে ভিড় দেখলে সকলকে সচেতন করেছেন পুলিশকর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ সাফ জানিয়েছে ভিড় বাড়তে দেখলে অবিলম্বে বাজার বন্ধ করা হবে।

শ্যামবাজার হোক বা শকুন্তলা পার্ক। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। যেখানে যেখানে বাজার বসছে সেখানে মানুষ কিন্তু রবিবার সকালেও ভিড় জমালেন। অনেক ক্ষেত্রেই বাজারে ২ জন মানুষের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রইল না। পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। প্রশাসনের চেষ্টার ত্রুটি ছিলনা। অনেক জায়গায় বেলা বাড়তেই পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে বাজার বন্ধও করিয়ে দেয়।

বাজারে ভিড় দেখলে সকলকে সচেতন করেছেন পুলিশকর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ সাফ জানিয়েছে ভিড় বাড়তে দেখলে অবিলম্বে বাজার বন্ধ করা হবে। তবুও রবিবারের সকালে কিছু কিছু বাজারে যথেষ্ট মানুষের দেখা মিলল। অবশ্য রবিবারকে আলাদা করার মত পরিস্থিতি এখন আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কলকাতার যেসব এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে, সেসব এলাকার বাসিন্দারা বড় একটা বার হননি। সেখানে পুলিশি কড়াকড়িও বেশি। করোনা রুখতে সকলকে বাড়িতে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীও বারবার বলেছেন। প্রয়োজনে পুলিশের তরফে বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

শুধু অনুরোধ করেন কটা দিন লকডাউন মেনে বাড়িতে থাকতে। হটস্পট এলাকাগুলিতে লকডাউন যাতে কঠোরভাবে পালিত হয় সেদিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। বাড়ি থেকে বার হলেই মানুষকে বাড়ি পাঠানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরার জন্য কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। তারপরেও রবিবার কিছু মানুষকে ফের রাস্তায় দেখা গেছে।

সকালের দিকে কিছু মানুষ রাস্তায় বার হন। যাঁদের উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রাস্তার বার হয়েছেন বলে পুলিশের মনে হয়েছে তাঁদের দিকে হয় লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেছেন পুলিশকর্মীরা। কাউকে সাজা হিসাবে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। কাউকে কড়া দমক দিয়ে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশ কিন্তু লকডাউন সফল করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *