Kolkata

কিছুতেই মাস্ক পরতে না চাওয়ায় ছেলেকে হত্যা করল বাবা

বছর ৪৫-এর ছেলে বিকেল হলে একবার রাস্তায় বার হবেনই। সরকারি নিয়ম মানতে তাই ছেলেকে সে বলেছিল তিনি যেন মাস্ক পরে বার হন। কিন্তু ছেলেও মাস্ক পরবেন না কিছুতেই।

তার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। বিশেষভাবে সক্ষম সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। এরমধ্যেই এখন আবার করোনা উদ্বেগ। সরকার থেকে বলা হয়েছে রাস্তায় বার হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সে কথা ছেলে শীর্ষেন্দুকে বোঝাতে পারছিল সে।

এদিকে এই লকডাউনেও বছর ৪৫-এর ছেলে বিকেল হলে একবার রাস্তায় বার হবেনই। সরকারি নিয়ম মানতে তাই ছেলেকে সে বলেছিল তিনি যেন মাস্ক পরে বার হন। কিন্তু ছেলেও মাস্ক পরবেন না কিছুতেই। আর সেভাবেই তিনি বিগত কদিন রাস্তায় বার হচ্ছিলেন।

গত শনিবার বিকেলে এই নিয়ে তার সঙ্গে ছেলের ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া চরমে উঠলে সে আর মাথার ঠিক রাখতে পারেনি। ছেলের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ধরে। তারপর সেই কাপড় দিয়েই তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শনিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সামনে একথা অকপটেই জানাল ৭৮ বছরের বৃদ্ধ বংশীধর মল্লিক।

বাবার হাতে ছেলের খুন হওয়ার এই ঘটনা শুনে দ্রুত পুলিশ ছোটে বংশীধর মল্লিকের শ্যামপুকুরের বাড়িতে। সেখানে ৪৫ বছরের শীর্ষেন্দু মল্লিককে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তারা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে হাজির হন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে আধিকারিকরা। আটক করা হয় পুত্রহন্তা বৃদ্ধ বংশীধর মল্লিককে।

বংশীধর মল্লিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা এই হত্যার পিছনে সঠিক মোটিভ কী ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সত্যিই ছেলের অবাধ্যতায় তিতিবিরক্তি, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *