Kolkata

ঐতিহাসিক দিন, সোমেন মিত্রর ডাকে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বিমান বসু

ঐতিহাসিক দিন বললে অত্যুক্তি হয়না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দুই মেরুতে থাকা কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট নেতৃত্ব যে কেউ কারও দফতরে যেতে পারেন। সেখানে ২ পক্ষ বসে চা খেতে পারেন। পরে সেখানে বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন তা বোধহয় নিদেনপক্ষে বাংলার প্রবীণ মানুষদের স্বপ্নের অতীত। সেটাই বাস্তবে হল সোমবার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু হাজির হলেন প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে। হাজির হলেন একে একে বামফ্রন্টের অন্য শরিক দলের নেতারাও।

তবে কী ফের একটা জোট দানা বাঁধছে? যে বাম-কংগ্রেস জোট গত বিধানসভায় হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছিল, তারা কি ফের বিধানসভাকে সামনে রেখে জোট বাঁধছে? নাকি তৃণমূলের থেকেও তাদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান? তাই এবার বিজেপিকে রোখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য হবে? অনেক প্রশ্ন তৈরি হলেও এদিন বিমানবাবু সুকৌশলে কোনও জোটবার্তা এড়িয়ে গেছেন। আবার জোট যে হচ্ছেনা এমন কথাও তিনি বলেননি। সবই রেখেছেন কালের গর্ভে। ভবিষ্যতে কি হবে তা তিনি এখনই বলতে পারছেন না বলেই এড়িয়েছেন একজোট হয়ে লড়ার ইঙ্গিত।

বিমানবাবু এদিন যথেষ্ট সাবধানী হলেও সোমেন মিত্র কিন্তু কয়েকটি কথায় অনেক কিছু বলে গেলেন। তিনি বলেন, তিনি বিমান বসুদের চা খেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁরা সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, যাত্রা শুরু হচ্ছে। এই যাত্রা শুরু কী একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে যাত্রা? অন্তত সেটাই মানে দাঁড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button