Kolkata

বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সব্যসাচী দত্ত

বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে সরাতে আগেই তৃণমূলের সিংহভাগ কাউন্সিলর একযোগে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থাও ডাকা হয়। তবে তা এখন আদালতের বিচারাধীন। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে নিজেই ইস্তফা দিলেন সব্যসাচী দত্ত। পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, পুর-কমিশনার ও ৩৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে আলাদা আলাদা করে চিঠি দিয়ে মেয়র পদ থেকে ইস্তফার কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বলেও এদিন জানান সব্যসাচীবাবু। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী পরে এই ইস্তফাপত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তারমধ্যেই এদিন ইস্তফা দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় অনেক জলাজমি বেআইনিভাবে ভরাট করা হচ্ছে। নির্মাণ শুরু করা হচ্ছে। এসবের তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে এফআইআর করেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়ে সব বিষয় জানান। কিন্তু কিছুতেই কোনও কাজ হয়নি। তাই তাঁর মনে হয়েছে এখানে থেকে প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করে তিনি থাকতে পারবেননা। এদিকে সব্যসাচীবাবু এদিন পদত্যাগের পরই বিকাশভবনে অনশন আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন উস্তির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। অনশন মঞ্চে গিয়ে বসেন।

সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় তাঁর বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ককে ঘিরে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়। যদিও সব্যসাচীবাবু জানান, পুরোটাই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। তৃণমূল নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেয় এভাবে বিজেপির সঙ্গে মেলামেশা না করে বরং সোজা বিজেপিতেই যোগ দিন সব্যসাচীবাবু। অন্যদিকে সব্যসাচীবাবু জানিয়ে দেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। মেয়র পদ ছাড়লেও দলে থাকছেন তিনি। এখন দলীয় নেতৃত্ব এরপর কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে চেয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে নেতারা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *