National

দুর্গাপুজোর আগে উধাও বিখ্যাত কনক দুর্গা মন্দিরের ৩টি রুপোর সিংহ

কনক দুর্গা মন্দিরের খ্যাতি দেশ জোড়া। সেই কনক দুর্গা মন্দিরের রথের সঙ্গে থাকা ৩টি রুপোর সিংহ উধাও হয়ে গেল।

বিজয়ওয়াড়া : আশ্বিন মাস মল মাস। তাই মহালয়ার পর এবার দুর্গাপুজো এক মাস ৫ দিন পর। তাও মহালয়া হয়ে যাওয়া মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া। আর দুর্গাপুজোর আগে দেশের যে দুর্গামন্দিরগুলি রয়েছে সেখানে সাজসাজ রব থাকে। সেজে ওঠে মন্দির। আয়োজনের প্রস্তুতি এগোতে থাকে।

অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কৃষ্ণা নদী বয়ে গেছে বিজয়ওয়াড়া শহরের গা ঘেঁষে। এই শহরের প্রান্তে কৃষ্ণা নদীর ২ পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু পাহাড়। তারই এক পাড়ে একটি পাহাড়ের ওপর রয়েছে কনক দুর্গা মন্দির। এই দুর্গা মন্দিরের সুখ্যাতি জগতজোড়া। সারা বছরই এখানে পুণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। আর দুর্গাপুজোর সময় তো এই মন্দির অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। বিশেষত এখানকার বিজয়া দশমী দেখার মত। সেই মন্দিরে দুর্গাপুজোর আগেই ঘটে গেল এক ভয়ংকর ঘটনা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কনক দুর্গা মন্দিরে কনক দুর্গার জন্য রয়েছে একটি রথ। সেই রথে রয়েছে ৩টি সিংহ। যে ৩টি সিংহ মোটা রুপোর পাত দিয়ে মোড়া। এগুলি ঢাকাই থাকে। হালে অন্তর্ভেদী মন্দিরের রথে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা গটে। তারপরই প্রশাসনের তরফে কনক দুর্গা মন্দিরের রথের সুরক্ষা বাড়াতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে বলা হয়।

প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার ঢাকা সরিয়ে রথের চারপাশে গ্রিল দিয়ে ঘিরে সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য আসে। কিন্তু ঢাকা সরাতেই তারা চমকে ওঠে। রথের সামনে থাকা ৩টি রুপোর সিংহই উধাও।

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই চুরির ঘটনায়। কমিটির তদন্ত করে প্রশাসনকে রিপোর্ট পেশ করার কথা। এদিকে মন্দিরে যে সিসিটিভি রয়েছে তাতে ১৫ দিনের ফুটেজ ব্যাকআপ থাকে। গত ১৫ দিনের সেই ফুটেজ পুরোদস্তুর খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে মন্দিরের তরফে তৈরি তদন্ত কমিটির বিশ্বাস সিংহ সরানো হয়েছে তারও আগে।

প্রশ্ন হল ১৫ দিনের সিসিটিভি ব্যাকআপ থাকবে, তার আগেরটা আর পাওয়া যাবেনা। এটা কী আগে থেকেই দুষ্কৃতিদের জানা ছিল? তাই তারা ১৫ দিনেরও অনেক আগে সিংহ সরিয়ে ফেলেছে? নানা প্রশ্ন উঠছে।

মন্দিরের রুপোর সিংহ চুরি যাওয়ার ঘটনায় ভক্তদের মধ্যেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *