পাহাড় দেখা যাচ্ছেনা, ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিলাসবহুল আবাসন
পাহাড়টা ভাল করে দেখা যাচ্ছেনা। এই অভিযোগ যে একটা নতুন তৈরি বিলাসবহুল আবাসন ভাঙার কারণ হতে পারে তা অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুখ ঢেকে দেয় মানুষের তৈরি আবাসন সহ অন্য নির্মাণ। এখন কলকাতা শহর ও তার সংলগ্ন এলাকায় এত আবাসন উঠে চলেছে যে প্রকৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। জানালা বা বারান্দা থেকে আকাশটাও ভাল করে দেখা যায়না। সবুজ দেখতে পাওয়া তো দুরস্ত।
হাতে গোনা গাছ, তাও যেকোনও দিন কাটা পড়বে এই নির্মাণকার্যের ধাক্কায়। এখানে অবশ্য এসব নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। তবে কেবল পাহাড়টা ভাল করে দেখা যাচ্ছেনা বলে কয়েকজন শহরবাসীর অভিযোগ যে সবে তৈরি হওয়া একটা বিলাসবহুল আবাসনকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারে, সেই আবাসনের প্রোমোটার সংস্থা যে সকলের কাছে তাদের এমন ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে পারে তা দেখে অনেকেই হতবাক।
জাপানের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হল মাউন্ট ফুজি। এই মাউন্ট ফুজি একটি আগ্নেয়গিরিও বটে। যার মাথার কাছটা বরফের টুপি পড়ে থাকার মত দেখতে লাগে।
সেই মাউন্ট ফুজিকে খুব সুন্দরভাবে দেখতে পাওয়া যায় কুনিতাচি এলাকা থেকে। কুনিতাচি এলাকায় বহু মানুষের বাস। তাঁরা নিত্যদিন বাড়ি থেকেই মাউন্ট ফুজি দর্শন করেন। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
এখানেই সম্প্রতি একটি ১১ তলা আবাসন কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। যেখানে ফ্ল্যাট কেনা বাসিন্দারা ১ মাসের মধ্যেই সেখানে গৃহপ্রবেশ করে ফেলবেন। চাবিও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়ে গেছে।
কিন্তু তার আগেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসিন্দারা অভিযোগ জানান ওই উঁচু আবাসনের কারণে তাঁরা ভাল করে মাউন্ট ফুজিকে দেখতে পাচ্ছেন না। এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ওই বাড়ি ভেঙে ফেলতে চলেছে খোদ নির্মাণ সংস্থাই।
তারা তাদের ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে। পুরো আবাসন তৈরি করে যখন বাসিন্দারা প্রবেশ করার অপেক্ষায় ঠিক তখনই তা ভেঙে ফেলা হতে চলেছে। ক্রেতাদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা।