প্রচুর কাঠ দরকার, দেদার গাছ কেটেও গাছের সংখ্যা কমে না, আজব উপায়ে বাজিমাত
গাছ বাঁচলে পৃথিবী বাঁচবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষাতেও গাছ বড় ভরসা। সেই গাছ কাটলেও যদি গাছের সংখ্যা না কমে তাহলে তা আজব উপায় বলা যেতেই পারে।
 
						একটি গাছ একটি প্রাণ। সেই প্রাণই গোটা পৃথিবীর প্রাণ রক্ষা করে। তাই বর্তমানে গাছ কাটা একটি ভয়ানক অপরাধ। আর কোনও কারণে গাছ কাটা হলেও নতুন করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রকৃতিকে বাঁচানোই এখন সকলের লক্ষ্য। মানুষ এখন গাছ লাগানো এবং তাকে রক্ষা করার বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন।
তবে এমনও এক জায়গা আছে যেখানে গাছ কেটে ফেললেও তা সংখ্যায় কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এতে প্রাচীন গাছগুলো যেমন কালের সাক্ষী হয়ে থেকে যায়, তেমনই নতুন অনেক গাছের জন্ম হয়।
জাপান ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। তাই সেখানে ৯০ শতাংশ বাড়িঘরই তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। কিন্তু এত গাছ কেটে ফেললে তো সেই দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার কথা। অথচ কখনওই সেটা হয়না। ৬০০ থেকে ৭০০ বছর আগে জাপানিরা গাছ রক্ষা করার এক অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
পদ্ধতিটির নাম দাইসুগি। এই প্রক্রিয়ায় একটি গাছকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করা হয়। গাছটি বড় হওয়ার পর তার নির্দিষ্ট কিছু ডালপালা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু তার কাণ্ডটি কাটা হয়না।
ফলে মূল গাছটি থেকেই যায়। গাছটির উপরদিকের সোজা এবং দীর্ঘ কাঠ ছেঁটে নিয়ে তা দিয়েই বাড়িঘর, হোটেল তৈরি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কাজ করা হয়। দাইসুগির কারণেই জাপানে বনভূমির পরিমাণ ৬৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে শুধু মানুষেরই প্রাণহানি হয়নি, তখন জাপানের বনাঞ্চলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ক্ষতি পূরণ করে জাপান। গাছের অভাব আর কাঠের অভাব তাদের কখনও হয়নি।













