Sports

কলকাতা – ২, চেন্নাই – ২

এক পক্ষ প্রথম সিজনের চ্যাম্পিয়ন আর অন্য পক্ষ দ্বিতীয় সিজনের। তৃতীয় সিজনে দু পক্ষই মুখোমুখি একে অপরের। ফলে টানটান খেলার একটা অপেক্ষা ছিলই। কিন্তু হোম গ্রাউন্ডে নতুন রূপে সেজে ওঠা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন ছন্দে পাওয়া যায়নি অ্যাটলেটিকো দে কলকাতা বা চেন্নাইয়ান এফসি-কে। প্রথমার্ধে একটাই পাওনা চেন্নাইয়ের দুরন্ত ফ্রি কিক। যা কলকাতার খেলোয়াড়দের ওয়ালে লেগে সোজা গিয়ে লাগে ক্রস বারে। কপাল জোড়ে বেঁচে যায় কলকাতা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কিন্তুই খেলার ধরণ বদলায় দু পক্ষই। যার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৫৮ মিনিটের মাথায় দ্যুতির গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। তার ঠিক দু মিনিট পরেই হলুদ কার্ড দেখেন চেন্নাইয়ের রিসে। কলকাতার ফ্যানরা ততক্ষণে করুণার সুরে বলতে শুরু করেছেন চেন্নাইয়ের কপালটাই খারাপ। প্রথমার্ধে সিওর গোল হলনা। হলুদ কার্ড দেখল। গোলও খেয়ে গেল। কিন্তু সেই সুখ স্থায়ী হল মাত্র ৭ মিনিটের জন্যই। খেলার ৬৫ মিনিটের মাথায় কোনও ম্যান মার্কিংয়ে না থাকা চেন্নাইয়ের জয়েশ রানে কলকাতার গোলমুখে বল রিসিভ করে ঠেলে দেন জালে। তাঁকে রোখার জন্য আশপাশে কলকাতার একজন স্টপারকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর ঠিক ৪ মিনিট পর আবার নাটক। চেন্নাইয়ের মুলডারের শট কলকাতার ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে সোজা জড়িয়ে যায় জালে। কার্যত সেমসাইড। চেন্নাই ২-১-এ আগে। এরপরও চেন্নাই যেভাবে আক্রমণ গড়ে তুলছিল মনে হয়েছিল আরও একটা গোল দিয়ে না দেয়। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে তখন পিন পড়লে আওয়াজ পাওয়া যাবে। দর্শকরা যখন খেলা শেষের কয়েক মিনিট আগেই ভিড় এড়াতে বিফল মনোরথে বাড়ি মুখো ‌হওয়ার কথা ভাবছেন, ঠিক তখন ফের চমক। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে কলকাতার খেলোয়াড়কে ধাক্কা মেরে পেনাল্টি দিয়ে বসে চেন্নাই। পেনাল্টি নিতে আসেন হিউম। তারকা খেলোয়াড়। তাই গোলটা নিশ্চিতই ছিল। হলও তাই। খেলার ৮৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ফের সমতায় ফেরে কলকাতা। এই ২-২ ফলাফল দিয়েই তৃতীয় সিজন শুরু করল কলকাতা-চেন্নাই।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *