ফের মহাকাশে ফার্স্ট বয়, দেশের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক
মহাকাশ বিজ্ঞানে দেশ যে অন্য সব দেশকে পিছনে ফেলে দ্রুত এগোচ্ছে তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। দেশের মুকুটে জুড়ে গেল আরও এক নতুন পালক।

মহাকাশ বিজ্ঞানে ফের ইতিহাস গড়ল ভারত। যা গোটা বিশ্ব পারেনি তা করে দেখাল আইআইটি মাদ্রাজের স্টার্টআপ অগ্নিকুল। তারাই মহাকাশে এদিন ছুঁড়ে দিল অগ্নিবাণ। তৈরি করল নয়া ইতিহাস।
অগ্নিবাণ হল বিশ্বের প্রথম সিঙ্গল পিস থ্রিডি প্রিন্টেড সেমি ক্রায়োজেনিক রকেট। যা ৩০০ কেজি পেলোড নিয়ে মহাকাশে পৌঁছে যেতে পারে। মহাকাশের ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তার অবাধ গতি।
এমন এক রকেট এর আগে বিশ্বের কোনও দেশ তৈরি করতে পারেনি যার জ্বালানি হল তরল অক্সিজেন ও কেরোসিন। এটা মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচিত করল।
অগ্নিবাণ রকেট মিশনের পর প্রধানমন্ত্রীও তারিফ করেছেন এই সাফল্যের। জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এ এক স্মরণীয় মুহুর্ত। এই সাফল্য দেশের যুবশক্তির উদ্ভাবনী দক্ষতার পরিচায়কও।
এই রকেটটি যে লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেটাও একটা ইতিহাস। এই প্রথম বেসরকারিভাবে তৈরি করা কোনও লঞ্চপ্যাড থেকে দেশের কোনও রকেট মহাকাশে পাড়ি দিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরো যাবতীয় রকেট উৎক্ষেপণ করে থাকে। সেই শ্রীহরিকোটার ইসরোর এলাকাতেই এই নয়া লঞ্চপ্যাডটি নির্মিত হয়েছে। যেখান থেকে অগ্নিবাণ রকেট মহাকাশে পাড়ি দিল।
এই সাফল্য গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে সন্দেহ নেই। গতবছরই চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারত পৃথিবীকে চমকে দিয়েছিল। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা