৬টি স্টেশনেই ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক ছোঁয়া, চালু হল এক অভিনব ট্রেন পরিষেবা
প্রতিটি ট্রেনের একটি রুট থাকে। এই ট্রেনটিরও একটি রুট রয়েছে। যাতে ৬টি স্টেশন পড়ছে। কিন্তু সেই ৫টি স্টেশনেই রয়েছে চমক। রয়েছে আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক ছোঁয়া।

একটি মেমু ট্রেন। মেমু অর্থাৎ মেনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট। এই ট্রেনটি তার যাত্রাপথে মোট ৫টি স্টেশনে দাঁড়াবে। কিন্তু এই ৫টি স্টেশনই অত্যন্ত ভেবেচিন্তে স্থির করা হয়েছে। যাতে ট্রেনটি তার একটি বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাতায়াত করতে পারে। আকর্ষিত করতে পারে পর্যটকদের।
সেই পর্যটক যাঁরা হয় বৌদ্ধধর্মাবলম্বী অথবা ইতিহাস জানতে আগ্রহী। ঝাড়খণ্ডের কোডারমা থেকে বিহারের বৈশালী, এটাই ট্রেনটির রুট। এই রুটের মধ্যে মোট ৬টি স্টেশন পড়ছে। কোডারমা থেকে ধরলে তারপর নওয়াদা, নালন্দা, রাজগির, বুদ্ধগয়া এবং শেষে বৈশালী।
এই প্রতিটি স্টেশন সেই সব জায়গায় যেখানে রয়েছে বৌদ্ধ নিদর্শন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এখানে আসতে চান। তাছাড়া প্রতিটি জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস। ফলে ইতিহাসপ্রেমী থেকে ছাত্রছাত্রীদের কাছেও এই ট্রেন রুট এক বিশেষ জ্ঞানার্জনের রাস্তা খুলে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই মেমু ট্রেনটি চালু হওয়া ভারতের আধ্যাত্মিক পর্যটনের মানচিত্রে নতুন এক সংযোজন। তাছাড়া অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও এক নতুন দিগন্তের জন্ম দিল।
উত্তর ছোটনাগপুরের সঙ্গে মগধ এলাকার সংযোগ স্থাপনেও এই ট্রেন রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। আবার একদম অন্য একটা দিকও উন্মোচিত হল এই নতুন ট্রেনের হাত ধরে।
যেখান দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে সেখানকার কারও চিকিৎসার প্রয়োজনে অন্য শহরে যাওয়ার জন্যও এই ট্রেন বিশেষ কার্যকরি ভূমিকা নেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা