ভোররাতে ট্রেন ডাকাতির চেষ্টা, দারুণ সাহসী পদক্ষেপে রুখে দিল জিআরপি
ভোররাতে চলন্ত ট্রেনকে চেন টেনে দাঁড় করিয়ে ট্রেন ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল জিআরপি। দারুণ সাহসিকতার পরিচয় দিল রেল পুলিশ।

তখন ঘড়িতে রাত ৩টে। অনেক যাত্রীই ঘুমে কাতর। ট্রেন ছুটে চলেছে প্রবল গতিতে। ট্রেনটির এস১ কামরায় তখন একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় লোক ছায়ার মত ঘুরছে। একটা বিশেষ জায়গা দিয়ে ট্রেনটি যখন পাশ করছে ঠিক তখনই তারা আচমকা ট্রেনের চেন টেনে দেয়। বাইরে তখন অপেক্ষা করছিল ডাকাতদলের অন্য কয়েকজন।
এদিকে চেন টানার পরই ট্রেনে থাকা জিআরপি কর্মীরা বুঝে যান কি হতে চলেছে। তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা ডাকাতদের ওপর। ডাকাতদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বাইরে থাকা ডাকাতরা তখন জিআরপিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে।
যাত্রীরা আতঙ্কে আর্তনাদ করে ওঠেন। আর এরমধ্যেই জিআরপি শূন্যে একের পর এক গুলি চালাতে থাকে। এভাবে ১০টা গুলি চালায় জিআরপি। এবার ডাকাতরা ভয় পায়। কামরায় জিআরপির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা ডাকাতরা কোনওক্রমে হাত ছাড়িয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়।
যারা বাইরে থেকে পাথর ছুঁড়ছিল তারাও ছুটে অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। জিআরপি কর্মীদের অসীম সাহসিকতায় এ যাত্রায় ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা। ভেস্তে যায় ডাকাতির ছক।
ঘটনাটি ঘটেছে ভুবনেশ্বর থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী বিশাখা সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে। অন্ধ্রপ্রদেশের পালনাড়ু জেলার তাম্মুলাচেরভু এলাকায় এই ডাকাতদলের কবলে পড়ে ট্রেনটি।
এই এলাকায় গত ১ সপ্তাহে এটা তৃতীয় ডাকাতির চেষ্টা। এখানে একটা গ্যাং ট্রেন ডাকাতি চালাচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। গ্যাংটা অন্ধ্রপ্রদেশের এই এলাকায় সক্রিয় হলেও তারা বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে আসা লোকজন নিয়ে তৈরি। ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলে ট্রেন যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে রেলের তরফেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা