National

৫ বছর লড়াই করে রেলের থেকে প্রাপ্য ৪৪০ টাকা উদ্ধার করলেন যাত্রী

৪৪০ টাকার জন্য এক ব্যক্তি ৫ বছর টানা লড়াই চালিয়ে গেলেন। টাকার অঙ্ক যাই হোক, তাঁর লড়াই কিন্তু অনেক যাত্রীকে রেলের প্রতারণার শিকার থেকে বাঁচার প্রেরণা দিল।

এক যাত্রীর প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিতে ভারতীয় রেল তাঁকে ৫ বছর লড়াই করতে বাধ্য করল। এমনকি বিষয়টি যাতে এড়িয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টাও রেলের তরফে হয়েছে বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির দাবি, ৪৪০ টাকা উদ্ধারের চেয়েও অনেক বড় ছিল তাঁর মত রেলে ভ্রমণ করা অনেক যাত্রীর এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পেশায় মিষ্টি বিক্রেতা মুন্নালাল আগরওয়াল তৎকালে উত্তরপ্রদেশ সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের এসি ২ টায়ারে ১ হাজার ৫৭০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। কিন্তু রেলে উঠতে গিয়ে দেখেন ওরকম কোনও কোচই ট্রেনটিতে নেই।

অগত্যা তিনি সামনে যে কোচ পান উঠে পড়েন। ট্রেন যাত্রা শুরু করলে টিটি সব শুনে তাঁকে এসি ৩ টায়ারে একটি জায়গা দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে মুন্নালাল দেখেন সেটি এক ব্যক্তির। তিনি সেই সিটের টিকিটও দেখান।

অবশেষে টিটি-র মধ্যস্থতায় মুন্নালাল সফর করেন ওই এসি ৩ টায়ার কোচেই। কিন্তু এসি ৩ টায়ারের ভাড়া ৪৪০ টাকা কম। তিনি তো এসি ২ টায়ারের ভাড়া দিয়েছেন। তিনি ওই ৪৪০ টাকা রেলওয়ের কাছে চেয়ে চিঠি দেন। কিন্তু রেলের তরফে উত্তরে কয়েক মাস পর জানানো হয় এই দাবি ভুয়ো।


এরপর মুন্নালাল স্থির করেন এই লড়াইয়ে যা করতে হয় করবেন, কিন্তু এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তিনি আগ্রা ডিসট্রিক্ট কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ দায়ের করেন। রেলওয়ে এখানেও বাধা দেয় বলে দাবি।

রেলের তরফে জানানো হয় এসব অভিযোগ রেলওয়ে ক্লেম ট্রাইব্যুনাল দেখবে। সেখানে আবেদন করা উচিত। কিন্তু মুন্নালাল প্রমাণ করে দেন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। তাই তিনি আগ্রা ডিসট্রিক্ট কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ দায়ের করতেই পারেন।

সেখানে এরপর ৪৫টি হিয়ারিং হয়। ৫ বছরের লড়াই শেষে অবশেষে সুবিচার পেলেন ৬৩ বছরের মুন্নালাল। আগ্রা ডিসট্রিক্ট কনজিউমার ফোরাম রেলওয়েকে বাৎসরিক ৭ শতাংশ সুদ সমেত মুন্নালালের প্রাপ্য টাকা তাঁকে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

৪৫ দিনের বেশি ওই টাকা ফেরত দিতে দেরি করলে সুদ ৯ শতাংশ হয়ে যাবে। এছাড়া মানসিক যন্ত্রণা প্রদান ও এই আদালত খরচ বাবদ আরও ৮ হাজার টাকা রেলওয়েকে মুন্নালালকে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আগ্রা ডিসট্রিক্ট কনজিউমার ফোরাম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button