National

রেল পরিবারের ১১৭ বছরের উড়ন্ত রানি ভোল বদলে এবার আধুনিকা

রেল পরিবারের যে কটি ট্রেন আজও উচ্চারিত হয় তার একটি একটি অবশ্যই উড়ন্ত রানি। সেই রানি এবার তার ভোল বদলে হয়ে উঠল আধুনিকা।

ভারতীয় রেলে গর্ব করার মত পুরাতনি ইতিহাস যা আজও সদর্পে জীবিত রয়েছে তার একটি অবশ্যই ‘ফ্লাইং রানি এক্সপ্রেস’ বা উড়ন্ত রানি এক্সপ্রেস। যাকে ‘পশ্চিম উপকূলের রানি’ হিসাবেই ১১৭ বছর ধরে চিনে এসেছেন সকলে। ১১৭ বছরের ইতিহাস বহন করে আজও এই ট্রেন তার পথে ছুটে চলেছে যাত্রীদের নিয়ে।

১৯০৬ সালে মুম্বই ও সুরাটের মধ্যে শুরু হয় এই দ্রুতগামী ট্রেনের চলাচল। ২৬৫ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করতে ফ্লাইং রানির লাগে ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

১৯০৬ সালে শুরু হওয়ার পর এই ট্রেন নিয়ে মানুষের উৎসাহের অন্ত ছিলনা। ফ্লাইং রানি যখন ছুটে যেত তখন তাকে দেখতেও লাইনের ধারে ভিড় জমাতেন মানুষজন।

সেই ট্রেন ১৯১৪ সালে চলাচল বন্ধ করে। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য। তারপর ১৯৩৭ সালে ফের তা চালু হয় ওই রুটেই। কিন্তু ট্রেনের চাকা ফের থামে ১৯৪২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা চলাচল বন্ধ করে।

এরপর ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালে ফের স্টিম ইঞ্জিনের ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ফ্লাইং রানি ছুট শুরু করে। সেই ছুট আর থামেনি। ফ্লাইং রানির আরও একটি বিশেষত্ব ছিল তার কয়েকটি ডবলডেকার কোচ।

সেই মুম্বই ও সুরাটের মধ্যে চলাচল করা ফ্লাইং রানি এবার সাজছে নতুন কলেবরে। পুরনো সব কামরা সরিয়ে আধুনিক এলএইচবি কোচ দিয়ে সাজিয়ে ফেলা হয়েছে এই ঐতিহাসিক ট্রেনকে।

এই নতুন অবতারে ট্রেনে থাকছে ২১টি কোচ। যার বেশ কয়েকটি এসি। বাকি নন এসি। সংরক্ষিত কামরা যেমন থাকছে তেমন থাকছে অসংরক্ষিত কামরাও। মহিলাদের জন্যও আলাদা কোচ থাকছে এই ট্রেনে। থাকছে সিজন টিকিটের যাত্রীদের জন্য আলাদা কামরা।

এই ট্রেন আর পাঁচটা ট্রেনের থেকে ঐতিহাসিক মূল্যে অনেকটাই আলাদা তা মানতেই হবে। তাই এই ট্রেনে চড়বেন বলেও অনেক পর্যটক ফ্লাইং রানি এক্সপ্রেসে চেপে ঘুরে আসেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *